কসবা প্রতিনিধিঃ বি,বাড়িয়া জেলার কসবা রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন যাবৎ টিকিট কালোবাজারীদের দখলে রয়েছে। স্টেশন মাষ্টারদের যোগসাজসে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারীর মাধ্যমে ঢাকা যাওয়ার ৭৫টাকার টিকেট বিক্রী হচ্ছে ১৫০টাকায় মোট কথা সব ক্লাসের টিকেট ১০০% বেশী। বর্তমানে কসবা রেলস্টেশনে আসনসহ টিকিট সোনার হরিনের মত হয়ে গেছে। আলাদা রেল মন্ত্রনালয় গঠন হওয়ার পরেও ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী হওয়ার ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলেও গত কয়েক মাস পূর্বে টিকিট কালোবাজারীদের হাতে যেন না যেতে পারে সে জন্য রেল মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী অগ্রিম ৩ দিনের টিকিট ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হলেও কসবা স্টেশনে ট্রেন আসার ২ঘন্টা পূর্বে টিকেট কাউন্টার খোলা হয়। রেলস্টেশন মাষ্টার এর তথ্য মতে প্রায় ৬০টির উপরে সব ক্লাসে সিট থাকলেও টিকেট কাউন্টার খোলার পর ৫/৭জনকে টিকেট দিয়ে বলে ছিট নাই। জানতে চাইলে বললে রাজনীতিক নেতারা আগে বুক করে গেছে। এর পর চলে কালেবাজারীর রমরমা ব্যবসা। একটু আড়ামে বসে যেতে যাত্রীরা বাধ্যহয়ে কালোবাজারীর হাত থেকে ১০০% বেশী দিয়ে টিকেট কিনে। রেলস্টেশন মাষ্টারের পরিচিতি জন সহ বিভিন্ন রাজনীতিক দলের নেতা কর্মী, সমাজ সেবী, সূধীজনেরা টিকেট নিলে চা পানী খাওয়ার নামে আধায়ে রেলস্টেশন মাষ্টারদের পকেট ভাড়ী করে। এমন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় এই টিকিট প্রকাশ্যে রেল কাউন্টারের বাহিরে উচ্চ দামে কালোবাজারে বিক্রি করছে। রেল কাউন্টারে তিন দিন আগে গিয়ে টিকিট পাওয়া না গেলেও এসকল কালোবাজারীদের কাছে পাওয়া যায় সকল ট্রেনের টিকিট। এসকল চিহ্নিত কালোবাজারীদের গ্রেফতার এবং আইন অনুয়ায়ী তাদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। স্টেশনে অবস্থানরত কয়েকজন যাত্রী সাধারন জানান, এ সপ্তাহে দু’দিন ঢাকা যাচ্ছি, তিন দিন আগে এসেও আসনসহ টিকিট পায়নি। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যাত্রীরা ৪/৫ দিন আগে আসনসহ টিকিট সংগ্রহ করতে এলেও তারা পায় না। আর দূর দুরান্তের যাত্রীরা তো টিকিট পাওয়া প্রশ্নই উঠে না। কসবার সাধারণ যাত্রীরা প্রথমে ঐ সকল দূর্ণীতিবাজ রেল কর্মকর্তা ও মাষ্টারের অপসারণ চায় এবং দেশের আইন অনুয়ায়ী কালোবাজারীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবী জানায়। অবহেলিত এলাকাবাসী দ্রুত স্টেশনের দূর্ণীতি রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্দ্ধস্তন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বর্তমান রেল মন্ত্রীর কাছে এই সমস্যার স্থায়ী একটি সমাধান বাহির করার দাবী জানায়।
Discussion about this post