মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা ব্যুরো: কুমিল্লা মহানগরীর গোবিন্দপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্তৃক বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। গত বুধবার সন্ধ্যায় গোবিন্দপুর চৌমুহনীতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পূর্বে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শাহীন মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তার অপর প্রতিদ্বন্ধিতা প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর মিয়া। এ দু’প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন চলাকালীণ সময়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এরই জের ধরে দীর্ঘদিন পর পুরনো দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। গত বুধবার সন্ধ্যায় গৌবিন্দপুর চৌমুহনীর জাহাঙ্গীর মিয়ার সমর্থকরা শাহীন মিয়ার সমর্থকদের ঘর বাড়ি, আবুল ডেকোরেটর, বাবুল-আরিফের টং দোকান, ফারুকের বাড়ি, শামীম মিয়ার ঘর, কবির মিয়ার টিনের ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তাদেরকে বাঁধা দিতে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী শাহিন মিয়া জানান- আমার প্রতিদ্বন্দ্বি জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে কবির আহাম্মদ, রবি তাদের সহযোগী রাজু, রিপন প্রকাশ রিপ্পা, আরিফ, বেনু মিয়া ও জামানসহ একদল সন্ত্রাসী দল নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় আমার সমর্থিত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘর, দোকানপাঠ ভাংচুর করে। এ ঘটনায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পূর্বে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় জাহাঙ্গীর মিয়া উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। পরে আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে এসেছে। এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় পূর্বে একটি মামলা বিচরাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোতয়ালী মডেল থানায় মনসুর আলীর ছেলে মামুন মিয়া বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
বরুড়ায় পুত্রের হাতে পিতা খুন
কুমিল্লার বরুড়া পুত্রের হাতে পিতা খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় বুধবার রাতে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে পিতা মন্তু মিয়া ওরফে মজু মিয়ার সাথে তার পুত্র আরিফ হোসেন, জামাল হোসেন ও দুলাল হোসেনের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির সবাই নিস্তব্ধ হয়ে যায়। সকালে এলাকাবাসী বাড়ির উঠানে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ বিষয়ে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান- নিহত মজু মিয়ার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তিনি বুধবার পিতা পুত্রের সংঘর্ষের কথা শুনেছেন। বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি। তবে তিনি বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
Discussion about this post