নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। খবর পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ, পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক , গাবতলীর ইউএনও মুনিরা সুলতানা, ওসি আলী আহমেদ হাশমী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সাবেকপাড়া বামুনিয়া কর্মকারপাড়ায় ১টি দূর্গা মন্দির, পশ্চিম সাবেকপাড়ায় ১টি দূর্গা মন্দির, বামুনিয়া মাঝিপাড়ায় ১টি দূর্গা মন্দির ও পাশ্ববর্তী রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের কামারচট্ট হিন্দুপাড়ায় স্বরসতী মন্দিরের প্রায় ৮/১০টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে দূর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে ভক্তরা মন্দিরে পূজা করতে গিয়ে তারা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও ২টি প্রতিমা রাস্তার উপরে পড়ে থাকতে দেখে। এর পর ঘটনাটি জানাজানি হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্য চরম ক্ষোভ ও আতংকের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করা হয়। খবর পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ, পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরা সুলতানা, থানার ওসি আলী আহমেদ হাশমী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ বগুড়ার সভাপতি ডাঃ এন.সি বাড়ই, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রাগেবুল আহসান রিপু, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এএইচ আজম খান, সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা সভাপতি অমৃত লাল, হিন্দু সংগঠনের নেতা প্রান বন্ধু দেবনাথ, চিররঞ্জন, প্রশান্ত রায়, ধন্য গোপাল, দিলীপ কুমার, ভীম কুমার সরকার, সুদীপ চৌধুরী, বিশ্বজিৎ ঘোষ, চন্দন কুমার, রমেন চন্দ্র, বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান মতি, ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, একজন ভাল মানুষ অন্যের ধর্মের উপর আঘাত আনতে পারে না। আপনাদের ঘর ও সম্মান আপনাদেরকে রা করতে হবে। এজন্য স্থানীয় ওয়ার্ড পর্যায়ে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটি করা প্রয়োজন। প্রশাসনের পে থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে। পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএম বলেন, আপনারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। অভিযোগ করেন তদন্ত সাপে ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার ওসি আলী আহমেদ হাশমী জানান,এঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্দির কমিটির নেতা অমল, শ্যামল, সুধা, পুতুল, রঞ্জনা, বাদল, সুভল কর্মকার জানান, আমরা সংখ্যালঘু তাই বারবার মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে। আমরা প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চাই এবং দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবী করছি।
Discussion about this post