জয় হল গণতন্ত্রের সূর্য কন্যা বলে পরিচিত নেত্রী আন সান সূচীর। মোট ভোটের প্রায় ৯৯ শতাংশ পেয়েছেন সুচি। রোববার তার ঐতিহাসিক জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস ইয়াঙ্গুনের রাজপথে। হাজার হাজার মানুষের �োগান গানে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা শহর। বিশাল ডিজিটাল বোর্ডে তার বিপুল জয়ের খবর ফুটে উঠতেই শুরু হয়ে যায় বিজয় উৎসব। এনএলডি সমর্থকদের গগনভেদী চিৎকার আমরা জিতেছি ।
অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) হয়ে সুচি কায়মু কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, মিয়ানমায় দীর্ঘ ৫০বছরের সেনা শাসনের অবসানের দাবিই আরো জোরালো করে তুলবে তার এই জয়। দীর্ঘ ২২ বছর পর মিয়ানমায় ঐতিহাসিক উপনির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হয়েছেন অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি-র প্রার্থীরা। এমনটাই দাবি করা হয়েছে এনএলডি সূত্রে। এই নির্বাচনে ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন এনএলডি-র প্রার্থীরা। তবে সরকারিভাবে এই জয়ের কথা ঘোষণা করা হয়নি। এদিন রোববার সকালে সুচি ভোট দেয়ার পর ইয়াঙ্গুন শহরের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তবে, শারীরিক অসুস্থতা কারণে নির্বাচনী প্রচার সেভাবে চালাতে পারেননি ৬৬ বছর বয়সী এই নেত্রী।
সকালে ভোট শুরুর পর কিছু অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছিলো এনএলডির পক্ষ থেকে। দলের মুখপাত্র নিয়ান উইন জানান, তারা অন্তত ৫০টি অভিযোগ দাখিল করেছেন এই নিয়ে। অনেক ভোটার তালিকায় ভোটারদের নাম নেই, এমনকি অনেক ব্যালটে সব মার্কাও দেখা যায়নি এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে সু চি কিন্তু ভোট দেওয়ার সময় বলেছেন, যে নির্বাচন স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে। এদিকে ভোটার উপস্থিতির কোন পরিসংখ্যান এখনও নির্বাচন কমিশন জানায়নি। তবে সেটি দুয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে অনেক ভোটারই স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। মিয়ানমারে এই যে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে তার পেছনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের ভূমিকার কথা শোনা যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংস্কারের হাওয়ার পেছনে আসলে দুই পক্ষেরই স্বার্থ রয়েছে। একদিকে সু চি যেমন চাচ্ছেন তার দীর্ঘ দুই দশকের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে অন্যদিকে বর্তমান সামরিক প্রশাসন তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশ্বের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে।
Discussion about this post