টরন্টোর একটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। টরন্টো ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড (টিডিএসবি) টরন্টোর ফ্লেমিংটন পার্ক এর একটি মিডল স্কুলে প্রতি শুক্রবার দেড়টা থেকে ৩০ মিনিটের জন্যে নামাজের সময় এবং নির্দিষ্ট স্তান বরাদ্দ করেছে। কিন্তু কানাডীয়ান হিন্দু এডভোকেসী নামের একটি সংগঠন স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্দান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা এই সিদ্ধান্ত বাতিলেরও জোড় দাবি জানাচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী,অভিভাবক ছাড়িয়ে কানাডার একটি এডভোকেসি গ্রুপ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বিষয়টিকে শিক্ষার সঙ্গে বিশেষ একটি ধর্মকে একীভূত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে।
টরন্টো ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছে, স্কুলের শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং তা প্রতিপালনে সহায়তা দেওয়া বোর্ডের জন্যে বাধ্যতামূলক। তারা তাদের সেই দায়িত্বই পালন করছেন শুধু। বোর্ড জানিয়েছে, ফ্লেমিংটনের ভ্যালিপার্ক মিডল স্কুলে গত তিন বছর ধরেই মুসলিম শিক্ষার্থীদের নামাজের ব্যবস্থা ছিলো। নামাজ পড়ার জন্য তারা স্কুলের ক্যাফেটারিয়া ব্যবহার করতেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশই যেখানে মুসলিম, তাদের সুবিধার কথ্রা বিবেচনা করে নামাজের জন্যে নির্দিষ্ট জায়গা করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এটি নিতান্তই মিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় পছন্দের ব্যাপার। এটি কোনো অবস্থাতেই স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ নয়।
কিন্তু কানাডীয়ান হিন্দু এডভোকেসি বলছে, স্কুল চত্তরে মুসলিম শিক্ষার্থীদের নামাজের সময় এবং জায়গা করে দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেক্যুলার শিক্ষাপদ্ধতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তারা বলছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্যে ‘হালাল মাংস’ও সরবরাহ করছে। এটিও বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ। তারা দাবি জানিয়েছে,স্কুলের হিন্দু শিক্ষার্থীদের জন্যে ‘অ-হালাল মাংস’ও সরবরাহ করতে হবে। কানাডীয়ান হিন্দু এডভোকেসী গ্রুপ মিডভ্যালি স্কুলে নামাজের ব্যবস্থা বন্ধ না করলে আগামী শুক্রবার নামাজের সময় স্কুল ঘেরাও করবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। জবাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, হিন্দু এডভোকেসী গ্রুপ যদি তাদের ধর্মাবলম্বীদের জন্যে প্রার্থনার সমান সুযোগ চায় তাহলে তারা তার জন্যে আবেদন করতে পারে। উল্লেখ্য, ভ্যালি পার্ক মিডল স্কুল হচ্ছে কানাডার সবচেযে বড় মিডল স্কুল। প্রায় ১৩শত শিক্ষার্থীর এই স্কুলে ৫০টি ভাষাভাষী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে।
Discussion about this post