গত 31 জানুয়ারি 2017 কুয়েতস্থ সালমিয়া মিলিনিয়াম হোটেলের হলে কুয়েত সফররত প্রতিরক্ষা কমিটির সাথে কুয়েত প্রবাসীদের মতবিনিময় ও ডিনারের দাওয়াত এর আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাস।
এই সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজনে আর্থিক সহায়তা করেছেন কুয়েত প্রবাসী স্বনামধন্য কয়েকজন ব্যক্তিবর্গ। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহীদ ইসলাম পাপুল, সিনিয়র সিটিজেন হাসান ওয়ারিশ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান মুকাই আলী ও জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী। রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের বক্তিতায় উনাদের প্রশংসার সাথে সাধারন প্রবাসীরাও আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় এই বড় মনের মানুষদের প্রতি। কুয়েতে প্রায় আড়াই লক্ষ প্রবাসীদের মধ্যে উনারা উনাদের গুনের পরিচয় দিয়েছেন। কারন আরেকটি যে দাওয়াত নিয়ে উনাদের কোন তদারকির কথা শুনা যায়নি। উনারা সব সময় প্রবাসীদের পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা।
এই অনুষ্ঠানে মতবিনিময় এর পর রাতের খাবারের আয়োজন ছিলো। কিন্ত অনেকেই ডিনার না খেয়েই চলে গেছেন । সঠিক তথ্যসূত্রে জানা যায় কেউ হোটেলে, কেউ বাসায় রান্না করে তাদের খুদা নিবারণ করেন।
দাওয়াত দিয়ে অপমান করার অধিকার কারো নেই। তবে এই ব্যর্থতার দায়ভার কে নেবে।
একজন অতিথীও বিনা দাওয়াতে অনুষ্ঠানে আসেননি। কারন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ যে কার্ড বিতরন করেছিলেন সেই কার্ড দেখিয়ে অতিথিরা প্রবেশ করেছেন। অতিথি বেশী হয়েছে এমন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
কি কারনে উপস্থিত প্রবাসীদের ডিনারের নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি করে এর কারন বাহির করা উচিত দূতাবাস কর্তৃপক্ষের যাতে করে ভবিষ্যতে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার আর না ঘটে। এতে আর্থিক সহায়তা কারিরাও থাকতে পারেন কারণ এই দায়ভার কিছুটা তাদেরও। তাদেরও জানার অধিকার আছে এমন মহতি একটি অনুষ্ঠানের অতিথি আপ্যায়নে কোন প্রকার দূর্নীতি হয়েছে কিনা।
Discussion about this post