ধর্ষণের প্রতিবাদে কুবি ছাত্রলীগের মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং বিদ্যমান আইন পরিবর্তন ও ধর্ষকদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে ১ মিনিট নিরবতা পালন,আলোক প্রজ্জ্বলন ও পদযাত্রা এবং প্রতিবাদ সভা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগ।
বুধবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ এর সঞ্চালনায় কর্মসূচিটি পরিচালনা করেন এবং তিনি এসময় দেশের চলমান এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হাসান বিদ্যুৎ বলেন, “প্রতিনিয়ত এই ধর্ষণের কারণে আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। যা আমাদের সামাজিক ও মানসিক অবস্থাকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যদি সম্ভব হয় বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে যৌন হয়রানির বিষয়ে কঠোর আইন বাস্তবায়ন করা হোক। ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড ব্যতিত অন্য কোন শাস্তি হতে পারে না।
গণিত ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাকিয়া টিনা বলনে, “আমার মেয়ে হিসেবে নয় মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার চায়। আমার এমন একটা সকাল চায় এরপর থেকে যেন শুনতে না হয় কোন মা বোন ধর্ষিত হয়েছে। কারো মা বা বোন হয়ে নয় মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকার চায়।”
শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদ্দাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন, “আজকে আমরা সত্যিই খুব বেশি লজ্জিত। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে যেখানে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল বর্তমানে তার একমাত্র প্রতিবন্ধকতা হলো ধর্ষণ। জাতি আজ কলঙ্কিত। আমাদের বিচার ব্যবস্থা লাল-ফিতার দৌরাত্ম্যে বন্দী। যার ফলে ধর্ষক বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে এমন দৃষ্টান্ত দেখাতে হবে যাতে এরকম নেক্কার জনক ঘটনা আর না ঘটে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাইরুল বাশার সাকিব বলেন, আজকে মোববাতি প্রজ্জ্বলন কোন সুখের বিষয় না,খুবই দুঃখ ভারাকান্ত হৃদয় নিয়ে আমরা আজকে এই খানে একত্রিত হয়েছি।যেই জাতির পিতা বলেছিলেন ধর্ষিতা মেয়ে পরিচয়ে লিখে দিতে বলেছিলেন পিতার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ঠিকানায় ধানমন্ডি ৩২,সেই পিতার হাতে গড়া সংগঠনের মুখোশ পরে কেউ চুন কালী লাগানোর চেষ্টা করলে কাউকেই চুল পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বায়জিদ ইসলাম গল্প, দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ শাহরিয়ার, কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাজমুল ইসলাম পলাশ, ছাত্রলীগ কর্মী শরিফ,সালমান,সোহাগ,মাহাদী, ওয়াকিল, নাজমুল,মাহাবুব,ও শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
Discussion about this post