নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পারের ২০০মিটার স্যাংক ধ্বসে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ধ্বস ঠেকাতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্পারে ধ্বস অব্যাহত রয়েছে। ফলে ভাটিতে থাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। পাউবো’র তথ্য মতে, যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গন ঠেকাতে ধুনট উপজেলায় সহরাবাড়ী ও বানিয়াজানে ২টি স্পার নির্মান করা হয়। এরমধ্যে গত ২০০২ সালে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৪০ মিটার বানিয়াজান স্পারটি নির্মাত হয়। স্পারের ৭৯০ মিটার মাটির কাজ ও ১৫০মিটার ট্রাকচার। এরমধ্যে মাটির তৈরী ৭৯০মিটার স্পারের উত্তর-দক্ষিণ পার্শ্বের স্যাংক সিসি ব্লক দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। স্পারটি নির্মানের পর থেকেই পানির প্রবল চাপে প্রতিবছর দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। ক্ষতিগ্রস্থ স্থান গুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিকবার জিও ব্যাগ ফেলে সংস্কার কাজ করেছে। সর্বশেষ গত ১ জুলাই ভোররাতে স্পারটির মুল ট্রাকচারের নিকট বেলমাউথের ২০মিটার ধ্বসে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ২টায় বানিয়াজান স্পারের উত্তরপার্শ্বের স্যাংকে ধ্বস দেখা দেয়। পানির প্রবল চাপ স্পারের নিকট ঘূর্নায়বর্তের সৃষ্টি করে। এতে মুহুর্তের মধ্যে স্পারের প্রায় ২০০মিটার এলাকা জুড়ের স্যাংক ধ্বসে যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, বানিয়াজান স্পারের স্যাংকে ধ্বস অব্যাহত রয়েছে। স্পার ধ্বসে খবর মুহুর্তের মধ্যে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। আতংকিত লোকজন ধ্বসে যাওয়া স্থান দেখার জন্য স্পারে ভীড় জমাচ্ছে। এদিকে ধ্বস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে ধীরে ধীরে ধ্বসে যাওয়া স্থানের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে ধ্বস ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, ভাটিতে থাকা বানিয়াজান, কয়াগাড়ী, রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ী ও কচুগাড়ী গ্রাম যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হবে। এছাড়া স্পারের ভাটিতে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়বে। এতে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি ও অকাল বন্যার আশংকা রয়েছে। ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রক্ষার জন্য বানিয়াজান স্পারটি নির্মান করা হয়েছে। নদীর পশ্চিম তীর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত পানি স্পারে আঘাত করে মাঝ নদীতে চলে যায়। এতে ভাটিতে থাকা গ্রাম গুলো ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু স্পারটি বর্তমানে ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। স্পার রক্ষা না হলে কয়েকটি গ্রাম ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহি প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, বানিয়াজান স্পার ধ্বসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। সেখানে জরুরী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করা হবে।
Discussion about this post