নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার মোকামতলার এক দিন মজুরের কিশোরী কন্যা সিমা নিখোঁজের ১৪ মাস পর সন্ধান পাওয়া যায়। তাকে এক নজর দেখার জন্য শতশত নারী পুরুষের ভীর। পুলিশ ও জন প্রতিনিধি উপস্থিতিতে অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। জানা যায়, স্থানীয় মুরাদপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুস ছামাদ তার ১১ বছর বয়সী কিশোরী কন্যা সিমা খাতুন কে কাজের মিয়ে হিসাবে গত বছরের জানুয়ারী মাসে মোকামতলা বন্দরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে রাখে। হাজী দেলোয়ার ১ মাস পর সিমাকে একই কাজের জন্য তার ঢাকাস্থ মেয়ে জামাই শফিকুলের বাড়ি থেকে রেখে আসে। শফিকুলের বাড়ি থেকে কিশোরীর সময় গত বছরের ১১ মে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের সংবাদ জানার পর ছামাদ তার মেয়েকে ফেরত নেয়ার জন্য দেলোয়ার ও তার জামাইকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তারা সিমাকে ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়। সিমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে এমন সন্দেহে সিমার পিতা আব্দুস ছামাদ হাজী দেলোয়ার সহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অভিযোগ পত্রটি মামলা রেকর্ড না করে কন্যার বিনিময়ে হাজী দেলোয়ারের কাছ থেকে ছামাদকে নগদ ২০ হাজার টাকা বুঝে দিয়ে ষ্টাম্পে মুসলিকা নামা লিখে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হয়। গত শনিবার হঠাৎ করে ময়মনসিংহ জেলার গফুরগাঁয় উপজেলার মশাখালি গ্রামের হাজী জয়নাল আবেদিন নিখোঁজ সিমা খাতুন কে সঙ্গে নিয়ে দেলোয়ার হাজীর বাড়িতে উপস্থিত হয়। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শতশত নারী পুরুষ ভীড় জমায়। স্থানীয় অপরাধ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান মারুফ রহমান মনজু উপস্থিতিতে সিমার পিতা মাতার নিকট হস্তান্তর করা হয়। নিখোঁজের বর্ণনা দিয়ে বলেন- অভিমান করে কাউকে না বলে শফিকুলের বাড়ি থেকে বাহির হয়ে ঢাকা কমলাপুর রেলষ্টেশন থেকে টেনে চরে ভূল ক্রমে ময়মনসিংহ যাওয়ার পর ওই হাজী জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে দীর্গ মাস আশ্রয় নিয়ে থাকে।
Discussion about this post