২০২১ সালে সানডেন্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ারের পর দুটো পুরস্কার জিতেছিল এই তথ্যচিত্র। মোট ২০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ নির্মাতার ঝুলিতে।
বিনোদন ডেস্ক: ‘খবর লহেরিয়া’ উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এক আঞ্চলিক মিডিয়া হাউজ চালান এক দলিত মহিলা সাংবাদিক। ছবির মূল বিষয় দলিত মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত একটি খবরের কাগজের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
এই মিডিয়া হাউজ তৈরির নেপথ্যের কাহিনিটা সুখরকর ছিল না। মীরাদেবীকে বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খবর লেহেরিয়ার প্রতিটা তরঙ্গ পৌঁছে দিতে হয়েছে জনসাধারণের কাছে।
বর্তমান মিডিয়া হাউজের গ্ল্যামার আর ঝাঁ চকচকে উপস্থাপনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ‘খবর লহেরিয়া’ টিকে থাকবে কী করে?
এই লড়াকু সাংবাদিককে নিয়েই সুস্মিত ঘোষ’র তৈরি তথ্যচিত্র ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’।
সুস্মিতের সঙ্গী তাঁর স্ত্রী রিন্টু। স্বামী-স্ত্রীর তৈরি এই তথ্যচিত্র দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হওয়ার পর এবার পৌঁছে গিয়েছে অস্কারের মঞ্চে।
২০১৬ মীরাদেবীর জার্নির গল্প ক্যামেরাবন্দি করতে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে যান রিন্টু-সুস্মিত। সেখানে মীরাদেবীর পাশাপাশি তাঁর তত্ত্বাবধানে কাজ করা আরও দুই তরুণী শ্যামকলি ও সুনীতার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের।
এখন ডিজিটাইজেশনের যুগ। এক ক্লিকেই খবর হাতের মুঠোয়। অতঃপর মীরাদেবীদের মোবাইলের দ্বারস্থ হতে হয়। টেকনলজি নিয়ে অতটা সড়গড় নন কেউই।
দলিত তকমা নিয়ে খবর জোগাড় করতে গিয়েই তো হিমশিম খেতে হয় রোজ। তারপর ও কীভাবে হল এই অসাধ্যসাধন? সেই উত্তরণের গল্প নিয়ে নির্মিত সুস্মিত-রিন্টু থমাসের ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’। যে ডকু-ফিচার এবার জায়গা করে নিল ২০২২ সালে অ্যাকাডেমির মনোনয়ন বিভাগে।
২০২১ সালে সানডেন্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ারের পর দুটো পুরস্কার জিতেছিল এই তথ্যচিত্র। মোট ২০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’ নির্মাতার ঝুলিতে।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে এই একটিমাত্র কাজ এবার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছে। এর আগে ‘জয় ভীম’ আশা জাগালেও পৌঁছতে পারেনি শেষ পাঁচে। ‘মাদার ইন্ডিয়া’, ‘সালাম বম্বে’, ‘লগান’-এর পর ফের কোনও ভারতীয় কাজ অস্কারের শেষ পাঁচে পৌঁছতে পেরেছে। গোটা দেশের চোখ এখন ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’-এর দিকে। অস্কারের দৌড়ে সেই জয় অব্যাহত থাকবে, তা নিয়েও আশাবাদী অনেকে।
Discussion about this post