মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ঃ ফুলপুর উপজেলাধীন ভাইটকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, ভাইটকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আহাদ আলী ১৯৭৩ সালে এইচ.এস.সি পাস করে, ১৯৮৬ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর ভাইটকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে শরীর চর্চা শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। চাকুরীর পাশাপাশি নিয়ম বহির্ভূত সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য সে গৌরীপুর কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে নিয়মিত ভর্তির মাধ্যমে ডিগ্রী পাস করে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিধি মোতাবেক কোন সরকারী চাকুরীজীবি চাকুরীকালীন সময়ে ছুটি ব্যতিত নিয়মিত ভাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারে না, পারলেও সেই সার্টিফিকেট দিয়ে তার পদায়নসহ উচ্চ বেতন উত্তোলন করা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি। জানা যায়, ভাইটকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আহাদ আলী সাহেব এইচ.এস.সি পাস করে শরীর চর্চা শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার পর প্রাইভেট পরীক্ষা না দিয়ে আইনতোয়াক্কা না করে নিয়মিতভাবে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট অর্জন করে এবং সে সার্টিফিকেট বিধি পরিপন্থিভাবে যায়েজ করে সে সরকারের কোষাগার থেকে উচ্চ বেতন গ্রহন করে নেয় যা সম্পূর্ণ অনিয়ম, দূর্নীতি ও জালিয়াতির সামিল। সরকারের শৈথলতার সুযোগে তার সকল সার্টিফিকেট তৃতীয় বিভাগ থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে জুনিয়র স্কেল থেকে সিনিয়র স্কেল পদায়ন হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সকল সত্যকে মিথ্যায় রুপান্তরিত করে সে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় সে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ গ্রহন করে। ভাইটকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেজাউল করিম মিন্টু ও ফরিদ আহম্মেদ বলেন, অবৈধভাবে সার্টিফিকেট অর্জনকারী দূর্নীতিবাজ মোঃ আহাদ আলী বর্তমানে প্রধান শিক্ষক। এ দিকে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে কোনরকম মন্তব্য করেনি। সরকারের সাথে জালিয়াতি করার দায়ে তার সার্টিফিকেট বৈধতার বাতিল পূর্বক নিয়োগ বাতিল করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
যৌতুকের নির্যাতনের শিকারনান্দাইলে গৃহবধু মোর্শেদা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ঃ নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের কুরাটি গ্রামের আঃ ছাত্তার বছরখানেক পূর্বে তার ভাগ্নী চট্রগ্রামের পতেংগার হোসেন আলী ফকিরের মেয়ে মোর্শেদাকে ছেলে শফিকুল ইসলামের (২২) বউ করে আনে । বিয়ে পর শফিকুল ও মোশেৃদার দাম্পত্য জীবন ভালই চলছিল । এখানে বাধ সাধে লোভী আঃছাত্তার ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৫) । বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুক লোভী শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী মোর্শেদাকে তার বাপের বাড়ী থেকে দুই লক্ষ টাকা ্এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় । আঃ ছাত্তারের অযৌক্তিক দাবী পূরণ করতে না পারায় ছেলে শফিকুল সহ মোর্শেদাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। কোন উপায়ন্তর না দেখে শফিকুল তার স্ত্রী মোর্শৈদাকে নিয়ে পতেংগা শ্বশুড় বাড়ীতে আশ্রয় নেয় সেখানে ৬ মাস থাকার পর গত একমাস পূর্বে মোর্শেৃদার স্বামী তাকে নিয়ে বাড়ীতে আসে । এতে শ্বশুড় শ্বাশুড়ী চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে মোর্শেদার উপর অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে যৌতুকের দুই লক্ষ টাকার জন্য । একপর্যায়ে গত সোমবার মোর্শেদা সকালে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় আঃ ছাত্তার ওতার স্ত্রী রোকেয়া বেগম অন্তঃসত্বা মোর্শেদাকে বেদম মারপিঠ করে । স্বামী শফিকুল ও বাড়ীর অন্যান্য লোকজন মোর্শেৃদাকে জরুরীভাবে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মননিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে শফিকুল তার স্ত্রী কে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে পারেনি । আর এভাবেই মৃত্যুর সাথে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মোর্শেদা । স্বামী শফিকুল জানান, যৌতুকের ২ লক্ষ টাকা এনে না দিতে পারলে তাকে ও তার স্ত্রী কে বাড়ীতে থাকতে দেওয়া হবে না এবং জীবনে মেরে ফেলবে । এব্যাপারে মোর্শেদা বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ পাচঁ জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করে । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি ।#
নান্দাইলে জাকের পার্টির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ঃ নান্দাইল উপজেলা জাকের পার্টির উদ্যোগে শনিবার চন্ডীপাশা মাঠ সংলগ্ন মাজহারুল ইসলামের বাসায় উপজেলা জাকের পার্টির সভাপতি আব্দুস সাত্তারে সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় । ইফতার মাহফিলে ১২ ইউনিয়নের জাকেরানগণ অংশগ্রহণ করেন । সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানান জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তুফা আমীর ফয়সল মোজাদ্দেদী সাহেবের নির্দেশে পহেলা রমজান থেকে ২০শে রমজান পর্যন্ত উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
Discussion about this post