করোনা মহামারির সময়ে ছুটিতে বাংলাদেশে এসে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে ফিরতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেক প্রবাসী। হঠাৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশ সমুদ্র বন্দর, স্থল বন্দর এমনকি আকাশ পথেও চলাচল বন্ধ রেখেছে। অনেক দেশ ভ্যাকসিন নেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে আবার সকল প্রকার যাতায়াতে তুলে নিচ্ছেন নিষেধাজ্ঞা। এর একটি দেশ কুয়েতে।
কুয়েত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চারটি ভ্যাকসিন ফাইজার, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং মোদার্নার দুটি ডোজ অথবা জনসন এন্ড জনসন ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছে তারা ফ্লাইট চালু হলে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন। এমন খবর প্রকাশিত হচ্ছে দেশটির গনমাধ্যমে।
বাংলাদেশে আটকা পরা একজন কুয়েত প্রবাসী বাংলার বার্তা কে বলেন তিনি কুয়েতে প্রবেশের জন্য দেশটির শর্ত সংবাদে দেখে চিন্তিত আছেন। তিনি বলেন কুয়েতে প্রবেশের জন্য চারটি ভ্যাকসিনের মধ্যে একটি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুই ডোজ গ্রহন করতে হবে। কিন্তু তিনি বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যে (COVISHIELD – AstraZeneca) টিকার দুই ডোজ গ্রহন করেছেন । আরেক প্রবাসী স্বপরিবারে কুয়েতে থাকেন তিনিও (COVISHIELD – AstraZeneca) টিকার দুই ডোজ গ্রহন করেছেন বলে জানান। এমন অনেক প্রবাসী যারা দীর্ঘদিন দেশে আটকে আছেন এই বিষয়ে চিন্তিত। (COVISHIELD – AstraZeneca) টিকা গ্রহন করেছেন এখন তারা কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন কিনা। অ্যাস্ট্রাজেনেকার অক্সফোর্ড এবং কোভিশিল্ড নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন। এই বিষয়ে কুয়েতে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার এর সাথে কথা বললে তিনি বাংলার বার্তা কে জানান ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটির ভারতের উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম ইন্সটিটিউট।স্থানীয়ভাবে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। ভারতেও COVISHIELD – AstraZeneca টিকাটি দেয়া হচ্ছে। এই নিয়ে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার অবকাশ নেই বললে চলে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বিশ্বে সফলতা পেয়েছে এটা নিয়ে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
Discussion about this post