মধ্যপ্রাচ্যে দিন দিন বেড়েই চলেছে বাংলাদেশী কাপড়ের চাহিদা, কুয়েতের বাজারে বাংলাদেশী গার্মেন্টস সম্প্রসারনে বাংলাদেশে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চান কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কুয়েতে স্থানীয় নাগরিক সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসি সহ বর্তমানে সর্বমোট জনসংখ্যা প্রায় সারে চার মিলিয়ন, এর মধ্যে দের মিলিয়ন স্থানীয় নাগরিক বাকি সব বিভিন্ন দেশের প্রবাসী। দেশটিতে আড়াই লাখের উপরে প্রবাসী বাংলাদেশী আছেন। দেশটির জনগনের চাহিদা মেটাতে বিশ্বের সব দেশ থেকেই বিভিন্ন পণ্য আমদানী করে থাকে। স্থানীয় আইন মেনে কোন ঝামেলা ছাড়া দেশটিতে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার সুযোগ থাকায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী নিজ মেধা দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছেন। বাংলাদেশের পোশাক মানে ভাল হওয়াতে কুয়েতে শপিং মল ম্যাক্স, রেডট্যাগ, সেন্টারপয়েন্ট, লুলু হাইপার, সিটি সেন্টার, গেইট মল, এভিনিউস সহ কুয়েতের সবচেয়ে বিলাসবহুল শপিং মল থ্রি সিক্সটি তেও বাংলাদেশী পণ্য পাওয়া যায়। এসব মার্কেটে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিজ দেশের পণ্য বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতে কার্পন্য করেন না।
সাধারন মার্কেটে বেশির ভাগ ক্রেতা ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা, মিসর, পাকিস্তান, নেপাল, ফিলিপাইন সহিএশিয়ার বিভিন্ন দেশের। বিক্রেতাদের থেকে জানা যায় এসব দেশের ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশী কাপরের ভাল চাহিদা রয়েছে।
কুয়েতে অনেক বর্তমানে অনেক ব্যাসায়ী আছেন যারা একই সেক্টরে কাজ করে নিজ অভিজ্ঞতা আর মেধায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কুয়েতের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসা চালিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অনেকেই। বাজার ধরে রাখতে উচ্চ মূল্য দিয়ে বিমানেও পণ্য আমদানী করেন কুয়েতে। প্রবাসী ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন বাংলাদেশে কোন সহযোগিতা পান না তারা পণ্য রপ্তানিতে। কুয়েতে বেশির ভাগ প্রবাসী ব্যবসায়ী নিজ কর্মস্থল থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যবসা শিখেছেন। বিদেশে সু শৃংখল আইন মেনে ব্যবসা করে অভ্যস্ত দেশ প্রেমিক প্রবাসীরা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা আর কোন সহযোগিতা না পেয়ে এখন দিন দিন বিদেশ মুখি হচ্ছেন । বাংলাদেশের স্বার্থে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা গুলি দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post