নাজমুল হক বাংলার বার্তা জামালপুর প্রতিনিধি সরিষাবাড়ী থেকে গুলজার হোসেন: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্কুল শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা সম্পা হত্যার ১০ দিন পর গত বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় খুন মামলা নিয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা সম্পা গত ১৫ জুলাই পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে যায়। পরে বিকেলে পৌরসভার হাসপাতাল সংলগ্ন বাসায় তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে জোর পূর্বক সম্পার লাশ গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী বালাসুতি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের বিভিন্ন চেষ্টা তদবির করে ব্যর্থ হয়। গত ১৬ জুলাই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এলাকাবাসী জানায়, চাচা ফরহাদ হোসেন ও সৎ মা নাহার বেগমের সঙ্গে পরকীয়ার জের হিসেবে দুইজনেই সম্পাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার শারমিন সুলতানা সম্পা হত্যার ময়না তদন্তের প্রতিবেদন সরিষাবাড়ী থানায় পৌঁছায়। প্রতিবেদনে সম্পাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহত সম্পার চাচা ফরহাদ হোসেনকে প্রধান, মা নাহার বেগম ও বাবা আবু সাঈদসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় খুন মামলা দায়ের করেছে। গত ১৭ জুলাই নিহত সম্পার চাচা ফরহাদ হোসেন ও পিতা আবু সাঈদকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দিয়েছে। সরিষাবাড়ী পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুর রউফ শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা সম্পার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান। উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, চাচা ফরহাদ হোসেন, মা নাহার বেগম ও বাবা আবু সাঈদকে আসামী করে থানায় খুন মামলা দায়ের করেছি। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম কামরুল আহসান জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তিনি আরও জানান, আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জামালপুরের সিভিল সার্জন নারায়ন চন্দ দে জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহত শারমিন সুলতানা সম্পার বাবা আবু সাঈদ, চাচা ফরহাদ হোসেন, সৎ মা নাহার বেগমসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
Discussion about this post