মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভূমি অফিস এর অফিস সহকারী এ কে এম আতাউর রহমান এর বিরুদ্বে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অফিস সহকারী হিসাবে চাকরী করলেও তিনি নিজেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়োগ ও বদলি বলে জাহির করেন। জানাগেছে, তিনি এর পূর্বে চাকরী করেছেন ফুলপুর উপজেলায় কিন্তু দঃখের বিষয় যে তার দূর্নীতির জন্য তাকে হালুয়াঘাট বদলি করা হয়। সেখানেও তিনি কাজ করতে পারেননি । পরে তার দুর্নীতির জন্য বদলি হন ভালুকায়। সেখানে তাকে যোগদান করতে দেয়া হয়নি। অবশেষে ময়মনসিংহ সদর ভূমি অফিসে অফিস সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের কিছুদিন পরেই তার নামের পার্শ্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিয়োগ ও বদলি যুক্ত করেন। সরকারী বিধি মোতাবেক চাকুরীজীবিদের প্রতি ষ্টেশনে তিন বৎসর চাকরীরত থাকার নিয়ম থাকলেও পাঁচ বৎসর অতিক্রম হওয়া সত্যেও তার বদলি তো দূরের কথা সে তাঁর নিজস্ব অবস্থানে থেকে পূরু ময়মনসিংহের সমাপ্ত তহশিলদারদের আতংক করে রেখেছেন। যার দিকে তার খারাপ দৃষ্টি পরে সে তার কাছ থেকে দুই লক্ষ থেকে পাচঁ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ বানিজ্য করে থাকেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন,এই ঘুষের টাকা জেলা প্রশাসক, ভূমি সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা বিভাগ সবেই পান। অফিসিয়াল সময়ে তাকে কোন সময়েই অফিসে পাওয়া যায়নি। তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক আমাকে ঢেকে পাঠিয়েছেন। এ অযুহাতে তিনি সারাক্ষন জেলা প্রশাসকের অফিসে সময় কাটান। তিনি জেলা প্রশাসকের স্ত্রী কি খেতে ভাল বাসেন, উনার মা কি খেতে পছন্দ করেন। তার ছেলে মেয়ে কি পছন্দ করেন, এই সব নিয়েই তিনি সারাক্ষন ব্যাস্ত থাকেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক আমার কাজের বাহিরে যাবেন না। আগামী জুন ২০১২ মাসে এম.এল.এস.এস নিয়োগ হওয়ার কথা এই নিয়োগের জন্য তিনি যে কত লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তার মোবাইল টেক করলেই সমস্ত তথ্য প্রমানাদি বের হয়ে আসবে। যার মোবাইল নাম্বার ০১৭১১-১২৯৪২৯ । বর্তমানে তিনি তার নিজস্ব বাসায় অবস্থান করে যার ঠিকানা আকুয়া চৌরঙ্গী মোড়ের দক্ষিনে। তার নামে বেনামে অনেক জমি তিনি ক্রয় করেছেন তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আকুয়া, চর ঈশ্বরদীয়া ও ভাটিকাশর তার বাসা দেখলে মনে হয় তিনি কোন মন্ত্রি লেভেলের লোক। একটি সুত্র জানায়, তহশিলদার এবং চাকরীতে নিয়োগের জন্য যারা টাকা দিয়েছে এবং সাধারণ হল্ডিং ধারী গনও তার হাত থেকে কেহই রেহাই পাননি। তারা সকলেই এই ব্যবস্থার প্রতিকার চান। এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ভ্রাম্যমান আদালত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় হতে চরপাড়া মোড় এলাকা হতে লাখ টাকা কর আদায় ॥ অবৈধ দখল মুক্ত করতে দোকান উচ্ছে
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ পৌর সভার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় হতে চরপাড়া মোড় পর্যন্ত এলাকা হতে প্রায় লাখ টাকা কর আদায় হয়েছে। ভ্রম্যমান আদালত এসময় রাস্তার ফুটপাত হতে অবৈধ দখল মুক্ত করতে দোকান উচ্ছে করেছে। ময়মনসিংহ পৌর সভার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোড় হতে চরপাড়া মোড় পর্যন্ত এলাকা হতে বিভিন্ন পৌর কর খেলাপীদের কাছ থেকে প্রায় লাখ টাকা কর আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত এসময় রাস্তার অবৈধ দখল মুক্ত করতে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতে র্যাব, পুলিশ সহ ময়মনসিংহ পৌর সভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। ময়মনসিংহ পৌর সভার ট্যাক্স কালেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মো: আমিনুল ইসলাম, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) দীপক মজুমদার, কঞ্জারভেন্সী ইনস্পেক্টর মো: মহববত আলী, সকল কর আদায়কারী ও তহসিলদার উপস্থিত ছিলেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের টানোকিশেমজা আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটির ১৯ দফা সুপারিশ ময়মনসিংহকে বিভাগ ও ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, বাজিতপুর, মধুপুর ও বকশিগঞ্জকে জেলা দাবী
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে বৃহত্তর ময়মনসিংহের টাঙ্গাইল, নেএকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটির ১৯ দফা সুপারিশ উথ্যাপন করেছে। নাগরিক উন্নয়ন কমিটির প্রধান দাবী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্র“ত ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, বাজিতপুর, মধুপুর ও বকশিগঞ্জকে জেলায় উন্নতি করন, সানন্দবাড়ী, আছিম বাজারকে উপজেলায় উন্নতি করন করতে হবে। ১৯ দফা দাবীতে তারা জানায়, ময়মনসিংহ শহরের যানযট জলজটের নিরসনে প্রজেক্ট সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করে ড্রেন ও খাল গুলির শেষ প্রান্ত পর্যন্ত খনন, প্রসস্থ করন, ও পাকা করতে হবে। চরপাড়া থেকে মাসকান্দা ড্রেন দ্রুত বাস্তবায়ন করণ করতে হবে। নাকুগাঁও স্থলবন্দর হতে নকলা-পিয়ারপুর-মুক্তাগাছা-দাপুনিয়া বাজার- চুরখাই ঢাকা রোড – বাইপাস রোড বাস্তবায়ন করা হোক। ময়মনসিংহ হতে জয়দেবপুর চার লেন রাস্তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। নদীর ওপারে ও বাইপাস চৌরাস্তার কাছে এখনই উপশহর ও নিউ টাউনের পরিকল্পিত পরিকল্পনা করতে হবে। বিভাগ বাস্তবায়ন হলে সিটি কর্পোরেশন আপনা আপনিই হবে। বিভাগীয় বাজেটে সকল উন্নয়ন সম্ভব। ময়মনসিংহ হতে তারাকান্দি ভায়া রেলপথ যমুনা ব্রীজ পর্যন্ত দ্রুত চালুকরন; নেত্রকোনা হতে ইন্টারসিটি ট্রেইন চালু, ঝারিয়া হতে দ্রুতগামী ট্রেইন চালু করা হোক। ব্রক্ষ্মপুত্র নদী খনন করে ভৈরব পর্যন্ত এবং তিস্তা নদী পর্যন্ত স্রোত ধারা বজায় রেখে ওয়াটার বাস চালু করা হোক। মধুপুর গড়ে প্রাপ্ত তৈলের সন্ধান উত্তোলনের ব্যবস্থা, দূর্গাপুরের সাদা মাটি ও সিলিকন বালি এবং সুনেত্র প্রকল্পের গ্যাস দ্রুত উত্তোলন করে বৃহত্তর ময়মনসিংহে ভালুকার মত সকল উপজেলায় গ্যাস দিয়ে আরো শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা হোক। হোসেনপুর ব্রীজ হতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড ও টোক হয়ে শ্রীপুর-ঢাকা সংযোগ স্থাপন করা হোক। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নতি করা হোক ও ২য় ইউনিট চালু করা হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত দেশের একমাত্র বেসরকারী ময়মনসিংহ হোমিও ডিগ্রি কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত জায়গা নির্ধারন করা হোক ও প্রতিষ্ঠিত করার যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা হোক। বন, রেলওয়ে ও সরকারী জায়গার তছরুপ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করুন। জয়দেবপুর হতে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ডবল রেল লাইন স্থাপন করে অর্ধ ঘন্টা পর পর ট্রেন চালু করা হোক। ফুলপুরের সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, গাড়ো পাহাড়ের নদী গুলিতে জলবিদ্যুৎ স্থাপন এবং তুষ ও পাতা থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হোক। ময়মনসিংহে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ময়মনসিংহের চাহিদা মিটানোর পর জাতীয় গ্রীডে দেয়া হোক। নেত্রকোনা সরকারী কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও নেত্রকোনা পলিটেকনিট ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং নেত্রকোনা প্রধান ডাকঘরকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নতি করা হোক। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দের স্থানে না করে অন্য জায়গায় করার জন্য তোড় জোরের কারণে স্থগিত হয়ে আছে। দ্রুত উহা ত্রিশালেই বাস্তবায়ন করা হোক। ভালুকা-রাজৈই-মশাখালী-মাইজবাগ-কান্দিপাড়া-দক্ষিণ লামকাইন ঘাট-মনিহারী কান্দা ঘাট-পাকুন্দিয়া রাস্তা বাস্তবায়ন করা হোক। নির্বাচনী ইশতিহারে প্রতিশ্র“তি হোমিওপ্যাথী, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হার্বাল চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি অল্টার্নেটিভ চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, ভেষজ গবেষনা ইনিষ্টিটিউট বৃহত্তর ময়মনসিংহে স্থাপন করা হোক। নেত্রকোনা বাইপাস রোড, শেরপুর, ভালুকা ও নেত্রকোনা হোমিও ডিপ্লে¬ামা কলেজ বাস্তবায়ন করা হোক। ত্রিশাশ-আওলিয়ানগর ব্রীজ-তাড়াইল-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ রাস্তা বাস্তবায়ন করা হোক। কিশোরগঞ্জ-নান্দাইল-গফরগাও ব্রীজ-রসুলপুর-ঢাকা রোড রাস্তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। মুক্তাগাছা-কালির বাজার-শিবগঞ্জ- আছিম বাজার-লোহানি সাগরদিঘি-ভরাডোবা রাস্তা প্রশস্ত করন করা হোক। শম্ভুগঞ্জ হতে নকলা-নাকুগাও-কুড়ি গ্রাম রেল-লাইন স্থাপন করা হোক। যমুনা দ্বিতীয় সেতু-ফুলছড়ি ঘাট ও বাহাদুরাবাদ ঘাটে স্থাপন করে আন্তর্জাতিক টও্রানজিট ব্যজবস্থা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। নেপাল, ভূটান, চীন ও ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য সহজ লভ্য করা হোক।
Discussion about this post