প্রতিবেদক: সব দলের অংশগ্রহনে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপকতারও দ্রুত অবসান চায় দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া কংগ্রেশনাল ফরেন এফেয়ার্স কমিটির প্রভাবশালী মেম্বার কংগ্রেস উইম্যান গ্রেস মেং এমন মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশীক দূত ডাঃ মজিবুর রহমান মজুমদার এবং বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশীক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী ২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসে গ্রেস মেং-এর অফিসে স্বাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাক্ষাত শেষে জাহিদ এফ সরদার সাদী সাংবাদিকদের জানান, কংগ্রেস উইম্যান গ্রেস মেং তাকে জানিয়েছেন- বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
তিনি আগামী নির্বাচনে যাতে সকল দল অংশ গ্রহন করতে পারে সে ধরণের একটি উপায় খুঁজে বের করার তাগিদ দেন। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গ্রেস মেং ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদশের মানবাধিকার তথা মানুষের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপকতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
বাংলাদেশে গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন ও গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। জাহিদ এফ সরদার সাদী বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই বলে কংগ্রেস উইম্যান গ্রেস মেং অবহিত করেন।
কংগ্রেস উইম্যান বলেন, তারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর গভীর ভাবে নজর রাখছেন। গণতান্ত্রিক উপায়ে চলমান সমস্যার সমাধান ও সব দলের অংশগ্রহনে একটি অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।
Discussion about this post