মোঃ হাবিবুর রহমান খান,কুমিল্লা প্রতিনিধি- হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নাস্তিকসহ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তিকারী শিক্ষককে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে, তার বিচার দাবিতে ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতি উপজেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা ও থানা প্রশাসন বিভিন্ন দল ও আলেম-ওলামাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্কুল ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তিকারী শিক্ষক কৃষ্ণচন্দ্র সরকারকে আইজিপির নির্দেশে গতকাল দক্ষিন সাহাপাড়ার তার বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে লাকসাম থানা পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের এএসপি সার্কেল (দক্ষিণ) মোঃ ইলতুৎমীশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে জরুরী বৈঠক করেন। এ ব্যাপারে লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা করেছে। এলাকার আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ জনমনে ক্ষোভ ও টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দশম শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাসের সময় স্কুলের সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে একজন নাস্তিক, মক্কা-মদীনা শয়তানের আড্ডাখানা, সৌদি আরব শয়তানের দেশ, আল্লাহকে আমি ভয় পাই না, মুসলমানরা মক্কা-মদীনা গিয়ে পূজা-অর্চনা করতে যায় বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া ওই শিক্ষক ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে বিভিন্ন কটুক্তি করেন। এ সময় ওই ক্লাশের এক ছাত্র প্রতিবাদ করলে শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার তাকে বেত্রাঘাত করেন। ওইদিনই ছাত্ররা বিষয়টি প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মোল্লার নিকট লিখিতভাবে জানায়। প্রধান শিক্ষক দু’দিনেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ওই শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং ছাত্রদের ধমক দেয় বলে ছাত্ররা অভিযোগ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত বুধবার ছাত্ররা ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও অফিস ঘেরাও করে রাখে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শ’ শ’ জনতা স্কুল গেইটে বিক্ষোভ করতে থাকে।
Discussion about this post