আইএসডিই বাংলাদেশে’র উদ্যোগে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত নারীর মানবাধিকার ইস্যূতে আগামী অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে বিশেষ বরাদ্দের অঙ্গিকার- আগামী অর্থ বছর হতে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ও পরিকল্পনায় নারীর মানবাধিকার ইস্যু সমুহ যুক্ত করা ও এর বাস্তবানের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখার অঙ্গিকার করেছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ। একই সাথে স্থানীয় জনগনের প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠি বিশেষ করে ভোটারদের অর্ধেক অংশ নারীদের মানবাধিকার ইস্যুতে কার্যকর অবদান রাখার জন্য ইউপি ও উপজেলাকে আরও শক্তিশালী করে এখানে আমলা ও সাংসদদের খবরদারি হ্রাসে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের দাবী জানানো হয়। ২৪ এপ্রিল চকরিয়া আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বাজেট ও পরিকল্পনায় নারীর মানবাধিকার ইস্যূ সমূহ অর্ন্তভূক্ত করার দাবীতে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে উপরোক্ত অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়। আইএসডিই বাংলাদেশ, চকরিয়া উপজেলা সমাজিক উদ্যোক্তা পরিষদ, সুফিয়া কামাল ফেলো ও সিএসডিএফ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ নাগরিক সংলাপে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল। আইএসডিই বাংলাদেশ’র কর্মসূচি কর্মকর্তা শেখ আজাদ কামাল টিপু ও গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জাকির হোসেন, মুখ্য আলোচক ছিলেন আইএসডিই বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন। প্যানেল আলোচক ছিলেন বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, প্রবীন রাজনীতিবিদ ও চকরিয়া উপজেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি হাজ্বী আবু মোঃ বশির উল আলম, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সমন্বয়ক এস এম মঞ্জুর হোসাইন চৌধুরী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চকরিয়ার টিম লিডার নুরুল আবচার। সংলাপের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপজেলা নারী উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি উম্মে কুলসুম মিনু। আলোচনায় অংশনেন কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম সিকদার, বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম, ইউপি সচিব অণিল কান্তি সুশীল, ইউপি সচিব সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক কে এম নাসির উদ্দিন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের নুরী, সুফিয়া কামাল ফেলো জন্নাতুল বকেয়া রেখা, কর্মনীডের নির্বাহী পরিচালক শাহানা বেগম, বরইতলী ইউপির সাধারন আসনে নির্বাচিত সদস্যা জাহানারা বেগম, চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর আঞ্জুমানারা, সংরক্ষিত নারী সদস্য রোকেয়া বেগম বেবী, মুর্শিদা বেগম, মনোয়ারা বেগম প্রমূখ। সংলাপে বক্তারা নারীর গৃহস্থলের কাজের আর্থিক মুল্য বিবেচনায় এনে বাজেট ও পরিকল্পনা প্রনয়নের দাবী জানান। জাতীয় বাজেটে জেন্ডার বাজেটিং যুক্ত করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বক্তারা ইউপি নারী সদস্যাদের কাজের ক্ষেত্রগুলোকে আরও সুনিদিষ্ঠ করা, তাদের নেতৃত্ব বিকাশে আরও সুযোগ সৃষ্ঠি করে দেবার উপর জোর দাবী জানানো হয়। একই সাথে স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের বাজেটকে উন্মুক্ত করা ও জনঅংশগ্রহন বাড়ানোর উপর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের দাবী জানানো হয়। সংলাপে অংশগ্রহনকারীরা স্থানীয় পর্যায়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন বন্ধ, যৌতুক প্রথাহ্রাস সহ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য ও নিপীডন রোধে স্থানীয় সরকারের বাজেট ও পরিকল্পনায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন, রাজনৈতিক অঙ্গন, শিক্ষা ও নেতৃত্ব বিকাশে নারীর আরও অংশগ্রহন বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনের অঙ্গিকার ব্যক্ত করে সম্মিলিত সামাজিক উদ্যোগে ৩০ দফা সুপারিশ করেন। সংলাপে চকরিয়া উপজেলা ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ, চকরিয়া পৌরসভা, ইউপি সচিব এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, চেয়ারম্যানগণ,উপজেলা প্রসাশনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, নারী ও মানবাধিকার নেতা, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিসহ ৭৫জন অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবেদকঃ শেখ আজাদ কামাল টিপু আইএসডিই বাংলাদেশ, চকরিয়া আঞ্চলিক
মুল প্রবন্ধ উপস্থাপননকরেন উপজেলা নারী উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি উম্মে কুলসুম মিনু
Discussion about this post