কুয়েতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ৩০শে অক্টোবর থেকে কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চতুর্থ ও শেষ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। কুয়েত-চট্রগ্রাম রুটে পুনরায় চালু হওয়া বিমানের বিজি-১৪৪ প্রথম ফ্লাইটটি (৩০শে অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৮ঃ৪৫ মিনিটে ২৭১ জন যাত্রী নিয়ে শাহ্ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। মঙ্গলবার (২৯শে অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্রগ্রামগামী ফ্লাইটটির উদ্বোধন করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতে বিমান কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ হাফিজুল ইসলাম, ডিফেন্স এটাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আবু নাসের,দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম,কুয়েতে সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মোখলেসুর রহমান, জিহুল ইসলাম, বিমানের কাউন্টার স্টাফ মোঃ সালাহ উদ্দিন পলাশ ও শামসুল আলম তুহিন, কুয়েতে বাংলাদেশি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাসহ অন্যান্যরা।
কুয়েত থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে বিমানের কোনো ফ্লাইট না থাকায় এতোদিন চরম ভোগান্তিতে ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের কুয়েত প্রবাসীরা, একথা উল্লেখ করে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, বিমান চট্রগ্রামে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সুসংবাদ, তবে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট সুবিধা সার্বক্ষণিক পেতে হলে আমাদেরকে বিমানে যাতায়াত করতে হবে। কুয়েতে বিমান কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ হাফিজুল ইসলাম বিমানে যাতায়াত করার জন্য সকল প্রবাসীদেরকে আহবান জানিয়ে বলেন, বিমান দেশের সম্পদ এটি আপনাদের সেবায় নিয়োজিত, পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রেও বিমান অঙ্গীকারবদ্ধ। কুয়েত-চট্রগ্রাম সপ্তাহে একটি ফ্লাইট ছাড়াও কুয়েত-ঢাকা সপ্তাহে আরো দুটি ফ্লাইট বিমানের রয়েছে বলেও জানান বিমান কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ হাফিজুল ইসলাম। কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার ফলে ফেনী থেকে শুরু করে কক্সবাজার, রাঙামাটি সহ পূর্ব অঞ্চলের কুয়েত প্রবাসীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে এমনটাই মনে করছেন কুয়েত প্রবাসীরা।
Discussion about this post