সাইফুল ইসলাম তালুকদার, ইউএই- পরিশ্রম ধন আনে এক বাস্তব কাব্যিক কথাটির সফল বাস্তাবায়ন করেছেন সংযুক্ত আরক আরক আমিরাতের সাহসী, পরিশ্রমী ও সফল ব্যবসায়ী মোঃ আমজাদ হোসেন। প্রবাসে মাটিতে যেখানে মানুষ শ্রোতের প্রতিকুলে সংগ্রাম করতে হচ্ছে সেখানে তিনি তার মেধা, মনন ও সাহসিকতা দিয়ে প্রবাসের প্রতিকুলে পরিবশে নিজকে নিযোজিত রেখে প্রবাসের মাটিতে ব্যতিক্রমধী এক নজির স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ কমিউনিটির এক সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তার আদর্শ অনুকরনীয় হয়ে থাকবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যস্ততম বানিজ্যনগরী দুবাই ছাতুয়াতে তিনি গড়ে তুলেছেন “জুলেখা আনসার গ্রোসারী এল.এল.সি। তিনি তার গ্রোসারীতে রেখেছেন হরেক রকন সামগ্রী বিশেষ করে ফ্রেস মাছ, মাংস, দেশীয় মাছ ও শাকসবজীর কারণে অনেক দুর দুরান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশী ক্রেতারা তার গ্রোসারীতে ভিড় করেন। তার সাথে আলাপচারীতায় জানা যায় দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বাংলােেশর ঢাকা জেলার দোহার থানার অন্তগত পালম গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ আমজাদ তার সাফল্যের পিছনে মুল ভুমিকা কি ছিল জানতে চাইলে তিনি জানান আমার যাবতীয় অর্জন মহান আল¬াহ বাব্বুল আলামীনের করুনা। আমার কাছে ছিল পরিশ্রম ও সততা।
তিনি বলেন আমি এখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে আমাকে কোন প্রকার বেগ পেতে হচ্ছেনা বরং সকলের সহযোগীতায় আমি সুন্দরভাবে আমার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছি। এছাড়া এখানে কোন প্রকার সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছেনা। তিনি নিজেই দোকানের সকল বিষয় তদারকী করেন। বিশেষ করে ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়টি তিনি সরাসরি তদারকি করেন। তার অমায়িক আচরন ও ক্রেতা সষ্টুষ্টির কারণে তিনি পেশাদার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিনি ব্যবসায়িক লভ্যাংশ থেকে রিয়েল ্এস্টেট ব্যবসা এবং সম্প্রতি গত ১৬ ফেব্র“য়ারী তিনি নতুন আরেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি তার ছেলে মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন নতুন প্রতিষ্ঠাটি মায়ের অনুপ্রেরণায় পরিচালন করতেছেন। আমজাদ হোসেনও প্রথমে দুবাই আল আবির ভেজিটেবল মার্কেটে ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং বর্তমানে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করতেছেন। তাহার প্রতিষ্ঠানে ১০ জন বাংলাদেশী কর্মচারী বয়েছেন এবং তাদের পর্যাপ্ত বেতন নিশ্চত করেছেন জনপ্রতি ১৫০০ দেরহাম বাংলাদেশী টাকায়ঃ ৩৪,৫০০/- টাকা এর মাধ্যমে ১০ টি বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান করেছেন প্রবাসের মাটিতে। প্রবাসে তার পিতা চাকুরীজীবি এবং তার মা মিসেস জোলেখা বেগম যিনি বিগত ২৫ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন তিনি সর্বক্ষেত্রে তার ছেলেকে সহয়তা করেন। প্রবাসে তার এক ভাই ও বোন রয়েছে । তার এ সাফল্য প্রবাসীদের অনুকরনীয় আাদর্শ হতে পারে।
Discussion about this post