প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ফেঞ্চুগঞ্জে দৈনিক ১ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন (বছরে প্রায় ৫ লাখ ৮১ হাজার মেট্রিক টন) সার উৎপাদনম ‘শাহজালাল সার কারখানা’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। কারখানাটি নির্মিত হলে দেশের ইউরিয়ার চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখান থেকে পূরণ করা সম্ভব হবে।
ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সার কারখানা চালু হলে বছরে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানি কমবে। দেশে এ ধরনের আরো তিনটি সার কারখানা তৈরি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। চীন সরকারের সহযোগিতায় প্রায় ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণসহ মোট ৫ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই গ্রানুলার ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১০ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সময় এই সার কারখানা নির্মাণের জন্য চীন সরকারের সাথে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বারিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ ৩৮ মাসে শেষ হবে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে প্রধানমন্ত্রী ৯০ মেঘাওয়াট উৎপাদন মতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন।
প্রধানমন্ত্রী সকাল পৌনে ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে ফেঞ্চুগঞ্জ ন্যাচারাল গ্যাস সার কারখানার মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে দেড়শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন তিনি। দ্বিতীয়বার মতায় আসার পর সিলেটে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। বিকেলে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় তিনি ভাষণ দেবেন তিনি। সূত্র : বাসস ও ওয়েবসাইট।
Discussion about this post