সালতানাত অব ওমানের রাজধানী মাস্কাট। ক্রমবর্ধমান মেট্রোপলিটন সিটি। আজকের বৃহত্তর মাস্কাটের সূচনা সমুদ্র পাড়ের এই অংশটি থেকে। কেউ বলে কর্নিশ, কেউ বলে মাত্রা আবার কেউ বলে মাস্কাট হারবার। একই অংগে অনেক রুপ এই পুরোন মাস্কাটের। সমুদ্র পাড়ে দাঁড়িয়ে বহুদুরে সমুদ্রে ভাসমান সওদাগরি নৌকা দেখে আপনার মন হয়তো আরব্য রজনীর সিন্দাবাদের কিস্তি ভেবে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবে। আর এই পুরনো মাস্কাটেই রয়েছে ঐতিহাসিক আল আলাম প্যালেস।
এটি হচ্ছে মাস্কাটের আল আলাম প্যালেস। ওমানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে এই প্যালেসের নাম আস্টে পিস্ঠে জড়িয়ে আছে। আরবী শব্দ আল আলাম অর্থ হচ্ছে পতাকা। আরব সাগরের তীরে এই আল আলাম প্যালেস সত্যি যেন পতাকার মত মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই প্যালেসের সাথে ওমানের ২শ বছরের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এই প্যালেস নির্মান করেন ওমানের বর্তমান সুলতান কাবুস বিন সাইদের দাদা ইমাম সুলতান বিন আহমদ। এই প্যালেস ওমানের বর্তমান সুলতান কাবুস বিন সাইদের অফিসিয়াল বাসভবন। এই প্যালেসের সামনের অংশে সোনালী-নীলের একটি চমৎকার আবহ সৃষ্টির প্রয়াস চালান হয়েছে। তবে এটি রাজকিয় প্রাসাদ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে ১৯৭২ সালে। ভিজিটরদের এই প্যালেসের ভেতরে প্রবেসের কোন অনুমতি নাই। তবে ইচ্ছে করলে এই প্যালেসের খুব কাছের গেইটে যেতে পারেন এবং ছবি তুলতে পারেন। ২০১২ সাল থেকে এই প্যালেসটি ওমানের রাজকীয় অনুষ্ঠান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরিদর্শনের কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে।
দেশ বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক প্রতিদিন এই প্যালেস দেখতে এসে ভীড় জমায়। কথা বলি কয়েক জনের সাথে……।।
সমুদ্র পাড়ের এই প্যালেস কে কেন্দ্র করে আসে-পাসে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন অনেক প্রসাশনিক ভবন। আপনি মাস্কাটে এলে অবশ্যই একবার হলেও এই প্যালেস দেখে যাবেন। কেননা এই প্যালেসের মার্জিত রুপ,বাহারী এবং নম্র ডিজাইন,মার্বেল পাথরের কারুকাজ,সফেদ প্রসাশনিক ভবন,খাঁচকাটা ছাদ,ঐতিহ্যবাহী ওমানী কাঠের বারান্দা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
আল আলাম প্যালেসের পাশেই রয়েছে আল মিরানী এবং জালালী দুর্গ। অটোমেনদের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে পর্তুগিজরা এই দুর্গ নির্মান করে ১৫৮০ সালে।
আল আলাম প্যালেসের পাসেই রয়েছে মসজিদ আল কোর। মাস্কাটের অনেক গুলো সুন্দর মসজিদের মধ্যে এটিও একটি। আধুনিক ওমানী স্থাপত্যকলায় নির্মিত এই মসজিদে নীল রং এর বিপুল সমাহার।
পাহাড়,সাগর আর প্রাসাদের অপূর্ব মেলবন্দন পুরন মাস্কাটের অহংকার। সমুদ্রের নোনা হাওয়া, সাগর জলে ভাসা পানসী নৌকা আপনার মনকে নস্টালজিয়ার গভীরে ডুবিয়ে দিতে পারে। আপনার হয়তো মনে পড়ে যেতে পারে ফাতেমা তুজ জোহরার সেই গান-তুমি বেশ বদলে গেছ,পুরনো সৈকতে আর পানসি ভেড়াও না।
Discussion about this post