ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ট্রাক মালিক ও সার ডিলারদের সাথে দ্বন্ধের জের ধরে গত মঙ্গলবার থেকে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে সড়কপথে ৭ জেলার সাথে সার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এদিকে পরিবহন করতে না পেরে কারখানা থেকে সার উত্তোলন করে বিপাকে পড়েছে কারখানার অধীনস্থ ডিলারগন। স্থানীয় প্রশাসন উভয়পক্ষের সাথে কথা বললেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানা গেছে। ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য ও ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই দ্বন্ধ চলছে। ট্রাক মালিকদের দাবি কখন কোন ডিলারের সার পরিবহন করা হবে তার সিরিয়াল ট্রাক মালিকেরা নির্ধারণ করবে। কিন্ত ডিলারদের কথা দীর্ঘদিন ধরে যে ডিলার আগে ডিও জমা দিয়েছেন তার সার আগে পরিবহন করে আসছে ট্রাক মালিক সমিতি। তারা বলেন ট্রাক মালিকদের দাবি মানা হলে ডিলারদের সার পরিবহনে জঠিলতা এবং পরিবহন খরচ বাড়বে। কারন ট্রাক মালিকেরা তাদের ইচ্ছে মতো ট্রাকের ভাড়া দাবি ও সিরিয়াল প্রদান করবেন। এই দ্বন্ধের কারনে কারখানা থেকে সার উত্তোলন করেও ডিলারগন সার পরিবহন করতে পারছেন না। ফলে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সড়কপথে কারখানার অধীনস্থ’ ৭ জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাদপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রোকোনা, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায় সার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে ট্রাক মালিক সমিতির আহবায়ক মিলন শাহ বলেন, ট্রাক মালিক সমিতির দেয়া সিরিয়াল অনুযায়ী কারখানা থেকে সার সরবরাহ করার দাবি মেনে নিলেই সড়ক পথে সার পরিবহন করা হবে। জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল উদ্দিন ট্রাক মালিকদের এ দাবির বিরোধীতা করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বরাদ্দকৃত সারের বিপরীতে কারখানায় টাকা জমা দেয়ার সিরিয়াল অনুযায়ী (ডিও-র টাকার জমার সিরিয়াল) সার সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাক মালিক সমিতির সিরিয়াল অনুযায়ী সার সরবরাহ করা হলে পরিবহন খরচ বাড়বে এবং ডিলারগন ট্রাক মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, কারখানা থেকে সার পরিবহন করার জন্য দু’পক্ষকেই বলা হয়েছে। দ্রুত সার পরিবহন চালু করা না হলে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post