সোনারগাঁ থেকে আল আমিন রানা: ১৯৯৭ সালে নারায়নগঞ্জ জেলার অন্তর্গত আড়াইহাজার থানাধীন হাইজাদী ইউনিয়নের বল্লভদী গ্রামে তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সাহেবের দান কর্তৃক জমির উপর সনামধন্য পীরজাদা মাওলানা মিয়া মোহাম্মদ আইয়ূব ও সাবেক হাইজাদী ইউপি চেয়ারম্যান,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে বল্লভদী কান্দা দাখিল মাদ্রাসা ও শাহ্ ওয়ালী আহমদ (রহ:) এতিমখানা। বহু কষ্টে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ মাদ্রাসাটি সঠিক রুপে চালিয়ে আসছে এবং আশে পাশের এলাকার ছেলে মেয়েদের কে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে ২০০৪ সালে মাদ্রাসাটি সরকারী সিকৃতি লাভ করে। ২০০৬ সালে সরকার কতৃক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃক দুই তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একতলাভবন নির্মিত হয়।বছরের পর বছর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ভালো মার্ক পেয়ে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে আসলে এবং মাদ্রাসাটি আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে আসতে থাকে এলাকাবাসি জানান। মাদ্রাসা কতৃপক্ষের আসা ছিল এই মাদ্রাসাটি একদিন সয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্টান হিসাবে রুপ নেমে এখানকার ছেলে মেয়েরা সাফল্যের স্বর্ণ শেখরে পৌছে যাবে। অবশেষে সকল আশার ওপর বাদা ছিটলো এলাকার কিছু অসৎ রাজনৈতিবিদ ও স্বার্থলোভী ব্যক্তি তাদের চরম স্বার্থ উদ্বার এবং কর্তৃত্ব লাভের জন্য মাদ্রাসায় বিশৃখ্ঙলা সৃষ্টি করে। সাবেক কমিটিবৃন্দ ও মাদ্রাসা উন্নয়নে আগুয়ান লোকদের প্রশাশনিক রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হয়রানি করে এবং মাদ্রাসার উন্নয়নের পথ চরম ভাবে ব্যহত হয় বলে এলাকাবাসি জানান। এছাড়া ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসা উন্নয়ন তো দুরের কথা শ্রেণীকক্ষের চেয়ার টেবিলয়ের করুন ও বেহালদশায় অবস্থা করে। মাদ্রাসার শিক্ষকদের ও শিক্ষাদান করতে হচ্ছে বিনা বেতনে। এতিমখানার যে পুরানো ভবনটি ও পাশে দুটি টিনের ঘর ধসে যাওয়ার আশংখ্যা করেন বর্তমান শিক্ষকগণ। ২০১০ সাল থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হোসেন মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে নানা অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন। মাদ্রাসার অভাব অনটন ও বেহলদশা দেখে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে আরো জোরালো ভাবে এগিয়ে আসল মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রবৃন্দ। এই মাদ্রাসা যাদের আজ সাফল্যের চরম পর্যায়ে পৌছে দিয়েছে। তাদের মধ্যে শামিম, রুবেল, শ্রাবণ, শরীফ, রিমন, ইকবাল আলামিন প্রমুখ। তারা তাদের অক্লান্ত শ্রম এবং কঠোর সাধনা দিয়ে চেষ্ঠা চালাচ্ছে ধুলোমাখা প্রতিষ্ঠানটি যেন আগের প্রাণচঞ্চল্যতা ফিরে পায় এবং আরো বড় একটা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে রুপ নেয় এমন আসা করেন বর্তমান এলাকার যুব সমাজ ও সাবেক ছাত্রবৃন্দ। চায় পুনরায় বল্লভদী কান্দা দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা সহ মাদ্রাসাটি সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়। ক্ষুদ্র পরিশরে এত বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠান চালানো অসম্ভব তাই সচ্ছলতা ফিরেয়ে আনার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন সাবেক ছাত্রবৃন্দ ও এলাকাবাসী। সেই সাথে সরকারের সু দৃষ্টি কামানা করেন যেন এই প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই এমপি ভুক্ত করা হয়।
Discussion about this post