বাংলা প্রেস, নিউইংল্যান্ড থেকে: যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউহ্যাভেন শহরে অবস্থিত বিশ্বখ্যাত ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হাজার হাজার দর্শক আর ভক্তের অফুরন্ত ভালবাসায় সিক্ত হলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। চলচ্চিত্র এবং বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটির চাব ফেলোশিপ এর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। এই চাব ফেলোশিপ সম্মাননা গ্রহন করতে তিনি গত ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পর আবারও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ‘হয়রানির’ শিকার হয়েছেন ভারতের সুপারস্টার শাহরুখ খান। ভারতীয় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির ব্যক্তিগত বিমানে করে নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর শাহরুখের সফরসঙ্গীদের সঙ্গে সঙ্গে ‘ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স’ দেওয়া হলেও জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখা হয়। নামের শেষে খান অংশের জন্যই তার সঙ্গে এ আচরণ করেছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাগন। শুধুমাত্র মুসলিম বলে এই বলিউড স্টার কে সইতে হয়েছে এই বিড়ম্বনা। টানা ২ ঘণ্টা আটক রেখে জেরা করার পর ইয়েল ইউনিভার্সিটির কতৃপক্ষ এসে শাহরুখকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। শাহরুখের জন্য এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগেও অন্তত তিনবার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ‘হেনস্তার’ শিকার হতে হয়েছে তাকে। ২০০৯ সালেও নিউজার্সির নিউয়ার্ক বিমানবন্দরে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল দীর্ঘ সময়। নিউইয়র্ক সফর শেষে শুক্রবার রাতে ভারতে ফেরার কথা রয়েছে শাহরুখের।
গত বৃহস্পতিবার ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে চাব ফেলোশিপ নেওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহরুখ এয়ারপোর্টে তার এই ‘হেনস্তার’ বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর ইয়েলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ৪৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। ইয়েল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার জন্য তিনি আম্বানির প্রতি ধন্যবাদ জানান। মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। ‘শিল্পের মাধ্যমে মানবিক আদর্শকে তুলে ধরায়’ অবদানের জন্য চলতি বছর শাহরুখ খানকে এ সম্মাননা দিল ইয়েল ইউনিভার্সিটি। চাব ফেলোশিপে বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র ও মানবিকতার মাধ্যমে আদর্শ ও আকাঙ্খা তুলে ধরে শিল্পকে আরো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ইতোপুর্বে ইয়েল ইউনিভার্সিটির এই চাব ফেলোশিপ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, রোনাল্ড রিগ্যান ও জিমি কার্টার, লেখক অক্তাবিও পাজ, কার্লোস ফুয়েন্তেস, টনি মরিসন, চলচ্চিত্র নির্মাতা সোফিয়া কোপ্পোলা, প্রকৌশলী ফ্রাঙ্ক গেরি, কোরিওগ্রাফার মিখাইল বেরিসনিখোভ ও সাংবাদিক ওয়াল্টার ক্রোনকাইটকে।
Discussion about this post