ছোটবেলায় নাচের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল রুনা লায়লার। মায়ের কাছে শুনেছেন, ছোটবেলায় রেডিও চালু করে নিজেই নাচতেন, নাচের মুদ্রা তৈরি করতেন। সেই আগ্রহ দেখে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল করাচির বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে। সেখানে নাচ শিখেছেন চার বছর। কিন্তু মা গানের মানুষ আর বাড়িতে গানের পরিবেশের কারণে রুনা লায়লা হলেন গায়িকা। শুধুই গায়িকা নয়, চার বছর নাচ শেখা রুনা লায়লা হয়ে উঠলেন উপমহাদেশের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী।১৯৫২ সালের সালের আজকের দিনে (১৭ নভেম্বর) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’খ্যাত রুনা লায়লা। মাত্র ছয় বছর বয়সে করাচিতে কয়েকজন বাঙালি মিলে ‘ঢাকা ওল্ড বয়েজ অ্যাসোসিয়েশন’ নামে সংগঠন করেছিলেন। তাদেরই এক অনুষ্ঠানে প্রথমবার ক্ল্যাসিক গান করেছিলেন রুনা। আর প্রথম পেশাদার গান গেয়েছিলেন পাকিস্তানের ‘জুগনু’ সিনেমায়।
১৯৬৬ সালে রুনা লায়লা উর্দু ভাষার ‘হাম দোনো’ সিনেমার ‘উনকি নাজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গম মিলা’ গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন। ষাট দশকে তিনি নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে পরিবেশনা করতে থাকেন। ১৯৭৪ সালে দেশে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, পশতু ভাষার জনপ্রিয় সব সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বাংলাদেশে ফিরে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ সিনেমায় কণ্ঠ দিয়ে বাংলা সিনেমায় প্লেব্যাক শুরু করেন।
এর পরের ইতিহাস প্রায় সবার জানা, ১৮ ভাষায় প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি কণ্ঠ দিয়েছেন রুনা লায়লা। হয়ে উঠেছেন উপমহাদেশের অন্যতম সেরা কণ্ঠশিল্পী। এ ছাড়া একদিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি।
Discussion about this post