করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতির খোঁজ করতে বললেও এই পরীক্ষা বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণায়লয়। এই পরীক্ষা বাতিলের সুযোগ নেই।
মহামারীকালে এবং পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সেই সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলছেন, অন্য শ্রেণিতে পরীক্ষা নিতে না পারলে শিক্ষার্থীদের ‘অটো পাস’ দেওয়া হলেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কারণ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত। মহামারীর মধ্যে যদি স্বাভাবিকভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেক্ষেত্রে বিকল্প কী কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে ইনোভেটিভ আইডিয়া দেওয়ার জন্যই ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল হচ্ছে বলে ফেইসবুকে খবর ছড়াচ্ছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা স্থগিত রয়েছে। দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে গত ১৭ মার্চ থেকে। বৃহস্পতিবার সেই ছুটির মেয়াদ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, মহামারীর কারণে এবার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টমের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে না। পঞ্চমের শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হলেও অষ্টমের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
Discussion about this post