মঈন উদ্দিন সরকার সুমনঃ কুয়েতে নিজ কর্মের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতির লালন পালনে কাজ করেছেন কুয়েত প্রবাসী স্বনামধন্য লেখক মোহাম্মদ আলী আজম। তিনি দীর্ঘ প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক মোঃ আলী আজমকে বিদায়ী সম্বর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সাহিত্য অঙ্গন কুয়েত। রফিকুল ইসলাম ভুলু’র সভাপতিত্বে এবং আব্দুল আহাদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ উদ্দিন আহমেদ সহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ প্রবাসী এই লেখকের কুয়েতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যক কাজের প্রশংসা করেন এবং তার কুয়েত ত্যাগে প্রবাসীরা একজন যোগ্য লেখকের অনুপস্থিতি অনুভব করবে বলে মনে করেন। শেষে স্মৃতি স্বরূপ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
অন্য দিকে শুক্রবার রাতে কুয়েত সিটির গুলশান হোটেলে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে প্রবাসী লেখক মোহম্মদ আলী আজমকে সম্মাননা দিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কমিউনিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল কুয়েত’র সভাপতি লুৎফর রহমান মোকাই আলী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের প্রবাসী নেতৃবৃন্দরা কবির কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
কবি ও সাহিত্যিক মোহম্মদ আলী আজম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে সাহিত্য অঙ্গনে যে কমতি ঘঠবে তা সবার কাছে বেদনা দায়ক। তিনি তাঁর কর্মে কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে বিভিন্ন সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ভাবে যে পদচারণা করেছেন সেই কর্ম প্রবাসীদের স্মৃতির পাতায় ইতিহাস হয়ে থাকবে।
[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/Banglarbarta” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]
Discussion about this post