সরকার একতরফা নির্বাচনের জন্য সব ব্যবস্থা করছে দাবি করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব বলেছেন, তার দল এ ধরনের নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি গতকাল শুক্রবার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
আবদুর রব বলেন, ‘বিরোধী বেশিরভাগ দল সরকারের পাতানো এই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকেই নির্বাচনের জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার তা দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং এ ধরনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।’ তিনি বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘিরে হরতাল, অবরোধ ও বিরোধী জোটের ঘেরাও কর্মসূচি এবং ক্ষমতাসীনদের তা প্রতিহত করার উদ্যোগ রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। এ সময় এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, শরীফ মোহাম্মদ খান, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, দেলওয়ার হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এসএম আনছার উদ্দিন, তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দা ফাতিমা হেনা, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবনায় আবদুল মালেক রতন সমঝোতার মাধ্যমে সাময়িক সঙ্কট নিরসনের সঙ্গে এর স্থায়ী সমাধানের পথ তৈরি করার জন্য জেএসডির দুটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এক. ‘সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে পার্লামেন্টের উচ্চ-কক্ষ গঠনের বিধান করে বর্তমান পার্লামেন্টের মাধ্যমেই দেশের বিশিষ্ট ও অদলীয় ব্যক্তিদের মধ্য থেকে আপাতত উচ্চ-কক্ষের একজন চেয়ারম্যান ও ১০ জন সদস্য নির্বাচিত করতে হবে।’
দুই. ‘উচ্চ-কক্ষের চেয়ারম্যানকে প্রধানমন্ত্রী ও ১০ জন সদস্যকে মন্ত্রী করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
Discussion about this post