মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে : গতকাল বিএনপি ও ১৮দলীয় ঐক্যজোট, ময়মনসিংহ জেলার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল সমস্ত শহর প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বরে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন একেএম মোশাররফ হোসেন এফসিএ, সমাবেশ পরিচালনা করেন আবু ওয়াহাব আকন্দ। সমাবেশে ১৮দলীয় ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ বলেন এই সরকার সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ সরকার এই সরকার মিথ্যুক, নতজানু ব্যর্থসরকার, এ সরকারের পতনের লক্ষে গণআন্দোলন গড়েতুলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আসুন সমস্ত মতভেদভুলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখি। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, ফকর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু, আব্দুল করিম, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, মওলানা আবু তাহের, মওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ, কাজী রানা, একেএম মাহবুবুল আলম, রতন আকন্দ প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্বদেন আবুল হাসেম, একেএম শমশের আলী, মো: ফজলুল হক, শাহ শিব্বির আহমেদ ভুলু, লিটন আকন্দ, এ্যাড: এম.এ হান্নান খান, আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, মিলন আকন্দ, ওয়াহিদুজ্জামান শাকিল, আবু সাঈদ, বজলুর রহমান তুহিন, শামীম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমিন পারভিন, ওয়াহিদুজ্জামান টুটুল, মফিদুল ইসলাম মোহন, শহিদুল আমিন খসরু, মোজাম্মেল হক টুটু, খন্দকার মাসুদ, জগলুল হায়দার, মো: হানিফ মিয়া, সোহেল খান, শামসুল আলম উজ্জল, সুলতান আহমেদ, জুবায়েদ হোসেন শাকিল, সাইফুল ইসলাম বাদল, শহিদুল ইসলাম দুলাল, তিতুমির সরকার, বাবু সহ জেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, অঙ্গ, সহযোগী ও সমমনা সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ধোবাউড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে : গত শনিবার ধোবাউড়ায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১২ উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে মৎস্যচাষী ও বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশ গ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিম মির্ধা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলালুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হাসান আলী আকন্দ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা খাতুন, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা আক্তার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক, মৎস্য চাষী আনোয়ার হোসেন খান দিনার প্রমুখ। এ সময় সফল মাৎস্যচাষী মোঃ দুলাল মিয়া, রাশেদুল হক ও মহিউদ্দিনকে পুরস্কৃত করা হয়।
আজো বধ্য ভূমি হিসেবে চিহ্নিত হয়নি নান্দাইলের কালিগঞ্জ
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে : দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪১ বছর পরও এখানে কোন স্মৃতি ফলক নির্মিত তো দূরের কথা বধ্য ভূমি হিসেবে আজো চিহ্নিত হয়নি । ফলে নতুন প্রজম্মের কাছে মুক্তি যুদ্ধে পাকিস্তিানি হানাদার বাহিনির হাতে নৃশংশ ভাবে অগণিত বাঙ্গালির শহীদ হওয়ার ঘটনাটি অজানাই থেকে যাচ্ছে । জানাযায়, মুশুল্লী ইউপির ময়মনসিংহ – ভৈরব রেল পথের নরসুন্দা নদীর উপর নির্মিত কালীগঞ্জ ব্রীজের কাছে স্বাধীনতা কামী নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে হত্যা করা হত । মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকা সূত্রে জানাগেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদররা দূর দূরান্ত থেকে ট্রেনে করে লোকজন কে ধরে আনত, এরপর ব্রীজের পাশে তৈরি করা বাংকারে নির্যাতন ও নারীদের ধর্ষনের পর হাত চোখ বেঁধে ব্রীজের উপর দাড় করিয়ে গুলি অথবা ফাসিঁ কিংবা জবাই করে লাশ ব্রীজের নীচে নদীতে ফেলে দিত । কখনো এক দড়িতে অনেককে একত্রে বেঁেধ গুলি চালাত হানাদার বাহিনী । সাধারণত তারা দিনের বেলায় হত্যাযজ্ঞ না চালিয়ে রাতে চালাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত । কত বাঙ্গালিকে এখানে খূন করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কেউ দিতে পারেনি । তবে হাজার হাজার যে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই আশেপাশের লোকজনের ভাষ্য এ রকমই। ব্রীজের পাশের ছালপাড় গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ মুজল পাঠান (৭৭) ও বাবর আলী(৭৯) জানান মুক্তিযোদ্ধের শুরুতে মেজর হায়দারের নেতেৃত্বে দেশপ্রেমিক জনগণ পাকিস্তানি হানাদার বহিনীর যাতায়তে বাধা সৃষ্টি করতে এ ব্রীজটি ভেঙ্গে দেওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ব্যাংকার তৈরি করে অবস্থান করতে থাকে । এ সময় আশেপাশের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং শুরু করে হত্যাযজ্ঞ । তারা আরো জানান, ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকায় ট্রেন এসে দুপাশে থামত । এক সময় ব্রীজটি সংস্কার করেও আগের মতোই এভাবেই ট্রেন থেকে নামিয়ে হত্যা করত । তখন রাতে গুলির শব্দে ঘুমাতে পারিনি । একই গ্রামের ফাইজুল ইসলাম(৫৮) জানান উপজেলার খামারগাঁও গ্রামের মজুমদার বাড়ির তিন সহোদর সহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয় এবং প্রতি রাতেই মানুষের বেচেঁ থাকার কাকুতি, মিনতি, কান্নাকাটিসহ সৃষ্টি কর্তার নাম স্মরণের আওয়াজ শোনা যেত । পাশের গ্রামের আব্দুস সালাম (৭৬) বলেন প্রতিদিন সকালে লাশের সারি নদী দিয়ে ভেসে যেতে দেখেছি ।
রুকুনুজ্জামান সরকার রুকনের রোগ মুক্তি কামনায় গৌরীপুরে ছাত্রদলের আলোচনা সভা ও দোয়া-মাহফিল
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে : ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সংগ্রামী সভাপতি মোঃ রুকুনুজ্জামান সরকার রুকনের আশু রোগ মুক্তি কামনা করে গতকাল ৮জুলাই সকাল ১১টায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্য্যলয়ে সরকারী কলেজ ছাত্রদল ও পৌর ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় গৌরীপুর সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মাইনুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে ছাত্রনেতা শাকীব মুন্সির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কলেজ শাখার ছাত্রদল নেতা- এসডি সোহেল, মোঃ আঃ রহিম, মোঃ আল-আমিন, হাফেজ মৌওলানা নূরুল ইসলাম নোমান পৌর ছাত্রদল নেতা- মোঃ শাকিব মুন্সি, মোঃ আল-আমীন, ছাত্রনেতা-আল-আমিন, এমএ বাশার ঝুলন, মোঃ সেলিম, নাজমুল, আরিফুল ইসলাম অহাদ প্রমূখ। এসময় বক্তারা বর্তমান আ‘লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের চিত্র তুলে ধরে ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-রুকুনুজ্জামান সরকার রুকন, সাধারন সম্পাদক-মোঃ সুজাউদ্দৌল্লাহ সুজা, সিনিঃ সহ-সভাপতি- মোঃ তানভীর ইসলাম টুটুল সহ সারা দেশের সকল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। আলোচনা সভা শেষে রুকুনুজ্জামান সরকার রুকনের আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিলে দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রুকুনুজ্জামান সরকার রুকন অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে ময়মনসিংহের স্বদেশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফুলবাড়ীয়ায় কৃষি প্রযুক্তি এবং ফল ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে : গতকাল রবিবার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপি কৃষি প্রযুক্তি এবং ফল ও বৃক্ষ মেলা/১২ উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মোসলেম উদ্দিন এডভোকেট শুভ উদ্বোধন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার- বনানী বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে কৃষি মেলায় আগত কৃষকদের উদ্দেশ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান- অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাদশা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা- মোঃ আহসানুল বাসার, প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা-ডাঃ আব্দুল মান্নান, মৎস্য কর্মকর্তা- মমতাজুন্নেছা, আ’লীগ নেতা- ইমদাদুল হক সেলিম, এডিপি ম্যানেজার- গ্রেনাক অনুপম সাংমা। পরে প্রধান অতিথি মেলায় স্থান পাওয়া বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
ড্যাব ময়মনসিংহ জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে বক্তারা দলীয়করণ ও দূর্নীতির মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধংস করে দিচ্ছে
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ঃ ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ময়মনসিংহ জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলন ও সাধারণ সভায় বক্তারা বলেছেন, দলীয়করণ ও দূর্নীতির মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধংস করে দিচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সক্রীয় বীর সেনানী শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়াম থেকে শহীদ জিয়ার নাম ফলক ভেঙ্গে দিয়ে সরকারের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করেছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা আরো বলেন, বহু আগেই নির্মিত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্ধিত ৫শ শয্যা হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করা যাচ্ছে না শুধু মাত্র কর্মচারী নিয়োগের বিলম্ব ও দূর্নীতির কারণে। যার প্রেক্ষিতে এ অঞ্চলের রোগীদের নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সেভেন ইলেভেন হোটেলে ড্যাব ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ একেএম ওয়ালিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পারভেজ শামস্ এর পরিচালনায় কর্মী সম্মেলন ও সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন, ডাঃ এম. ইলিয়াস, ডাঃ রুহুল আমিন সেলিম, ডাঃ শাহিনুল হক তুহীন, ডাঃ এএইচএম আবু সুফিয়ান সাগর, ডাঃ শাহাদাত হোসেন তুহিন, ডাঃ সাদেকুল ইসলাম সাদেক, ডাঃ মনোজ কুমার রায়, ডাঃ এ.বিএ. আজিজুল ইসলা, ডাঃ রশির আহাম্মেদ প্রমুখ। আলোচনা শেষে সাধারণ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে ডাঃ এ.কে.এম ওয়ালিউল্লাহকে সভাপতি ও ডাঃ পারভেজ শামস্ কে সাধারণ সম্পাদক পূণঃ নির্বাচিত করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট ড্যাব ময়মনসিংহ জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
Discussion about this post