আব্দুল কাদের: ৭ ই নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুয়েত শাখার উদ্যোগে কুয়েত সিটির গুলশান হোটেলে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শোয়েব আহম্মেদ।পরিচালনা করেন সহ সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান।বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী মঞ্জুরুল আলম,সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম,সহ সভাপতি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন,সহ সভাপতি নাসের মর্তুজা,সহ সাধারন সম্পাদক আবুল হাসেম এনাম,সহ সাধারন সম্পাদক,আজিজ উদ্দিন মিন্টু,সহ সাধারন সম্পাদক ইউসুফ মজুমদার,সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মায়মুন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরওয়ানীয়া প্রদেশ সভাপতি আনম তোহা মিলন,মহানগর প্রদেশ সভাপতি আব্দুল মোতালেব,মতসজীবি দল কুয়েতের সভাপতি আবুল বাসার,হাওয়াল্লী প্রদেশ সভাপতি আব্দুল লতিফ,মহানগর সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান,তারেক পরিষদ কুয়েত সভাপতি আব্দুল কাদের,সাধারন সম্পাদক মোশারেফ হোসেন,সহ সভাপতি শাহ আলম,ইমরান শিকদার,মতসজীবি দলের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,সহ সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন দিন।এই দিনে বাংলাদেশ বাকশালের হাত থেকে মুক্ত হয়ে গনতন্ত্রের পথে চলা শুরু হয়েছিল।শেখ মুজিব দেশে বাকশাল কায়েম করার পর তার দলের নেতাদের পরামর্শে তারই অনুগত একদল সেনা সদস্য তাকে হত্যা করে।এর পর আওয়ামীলীগ সমর্থিত সেনা শাষকরা যখন দেশকে নিশ্চিত ধংসের পথে নিয়ে যাচ্ছিল তখনই সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এনে বাংলাদেকে এই করুন অবস্থা থেকে উদ্ধারের দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত করে বাংলার সকল স্তরের মানুষ।বক্তারা বলেন ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার এই বিপ্লব না ঘটলে হয়তো আজো বাংলার মানুষ গনতন্ত্র ফিরে পেতনা।শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা তারই পথে হাটছে ২০০৮ সালে তথা কথিত সেনা শাষনের মোড়কে একটি অগনতান্ত্রিক সরকারের সাথে আতাত করে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশকে আরেক বার বাকশালের পথে নিয়ে গেছে।দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই।১৬ কোটি মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নাই।অর্থনৈতিক সব গুলো খাতকে তারা ধংস করে দিয়েছে।কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের নামে কুইক লুটপাট চালিয়ে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা দলীয় নেতা-কর্মীদের পকেটে চলে গেছে।বিরোধী নেতা-কর্মীদেরকে খুন,গুম,নির্যাতন করে জনগনের আন্দোলন রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।কুয়েত বিএনপির নেতারা সরকারকে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন নির্যাতন করে আন্দোলন বন্দ করা যাবেনা,দেশনেত্রীর নের্তৃত্বে বাংলার মানুষকে সাথে নিয়ে ১৮ দলীয় জোট আরেকটি বিপ্লব ঘটিয়ে এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে।অভিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিও জানানো হয় এই সভা থেকে। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন তারেক পরিষদ ক্যেত’র সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম।
Discussion about this post