এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন- কক্সবাজারের ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি আহমদ করিম সিকদারের মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশন থেকে ইয়াবাসহ দু’ব্যাক্তিকে আটক করেছে র্যাপিড় এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৭ এর একটি দল। ৯ জুন সন্ধ্যায় ক্রেতা সেজে ফিলিং স্টেশনের গোপন কক্ষ থেকে হাত বদল করার সময় এসব ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়। ধৃত ফিলিং স্টেশন কর্মচারিরা এসব ইয়াবা ছাত্রলীগ নেতা আহমদ করিম সিকদারের বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে ১০ জুন একটি মামলা দায়ের করেছে। র্যাব সূত্র জানায়,র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি দল ঈদগাঁও বাস স্টেশনের দক্ষিণে আলমাছিয়া মাদ্রাসা গেইট এলাকার মেসার্স করিম ব্রাদার্স ফিলিং ষ্টেশনে অভিযান চালায়। ক্রেতা সেজে র্যাবের সোর্স দুপুর থেকে ইয়াবা ক্রয় করতে দরদাম নিয়ে দেন দরবার করে আসছিল। দাবিকৃত মূল্য পরিশোধে সম্মত হলে বিকেলে ফিলিং স্টেশনের গোপন কক্ষে ইয়াবা গুলো হাত বদল করছিল স্টেশনে কর্মরত আবদুস ছালাম। এ মুহুর্তে স্টেশনটি ঘিরে গোপন কক্ষ থেকে ইয়াবাসহ পালাকাটার মুহাম্মদ আলমের ছেলে আবদুস ছালাম ও ম্যানেজার জয়নালকে র্যাব আটক করে নিয়ে আসে। জব্দ করা ইয়াবার পরিমাণ ৫২২ পিচ। এসব ইয়াবা জেলা ছাত্রলীগ নেতা আহমদ করিম সিকদারের বলে স্বীকার করেছে ধৃতরা। তারা আরো জানায়,বিগত দু’বছর ধরে এ কক্ষ থেকেই বিভিন্ন এলাকার মাদক বিক্রেতাদের হাতে ইয়াবা সরবরাহ করা হচ্ছে। আহমদ করিমের হয়ে তার সহযোগি পাঁহাশিয়াখালীর নুরুল ইসলামের ছেলে আবদুল লতিফ ও আরেক ছাত্রলীগ নেতা সরওয়ার এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ জানায়,র্যাব-৭ এর এসআই রহমান বাদী হয়েছে ১০ জুন সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা (নং-২৪/২০১২) দায়ের করেছে। গ্রেফতারকৃত ২ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত এদের কারাগারে প্রেরণ করেছে।
কক্সবাজারে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা ॥ কপাল পুড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের
পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাজিরার টেক থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত সাগর উপকূলে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রভাবশালী জমি দালাল চক্রের অশুভ তৎপরতা আংশকা জনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে জমির মালিকরা। প্রভাবশালী চক্রের চাহিদা মত জমি বিক্রি না করলে নানা মামলা হামলা জমি জবর দখলসহ সন্ত্রাসী বাহিনী ও টাকার জোরে বিভিন্ন জনকে হয়রানি করে থাকে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি, সচিব পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তার টেলিফোনের কারণেও নিরহ ভুমি মালিকদের সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। জমির দালাল, ভুমিদস্যু চক্র জমির মালিকদের জিম্মি করে কম দামে জমি কিনে বেশি দামে বিক্রি করে শত কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরাসরি ক্রেতা বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ না থাকায় প্রকৃত জমির মালিকরা বিক্রয় মূল্যের ৩০ শতাংশ টাকাও পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব দালাল চক্রকে চিহিৃত করে প্রকৃত ভূমি মালিকদের নায্য পাওনা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে নামে মাত্র মূল্যে দিয়ে বায়না নামা সৃষ্টি করে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের জমির ক্রেতাদের নিকট থেকে উচ্চ মূল্যে ঐসব জমি বিক্রি করে মাঝখানে মোটা অংকের ফায়দা লুটছে একটি চিহিৃত মহল। শত ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক জমির মালিক দালাল শ্রেণীর খপ্পর থেকে বের হতে পারছেন না। তাদের সাথে স্থানীয় ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসূত্র রয়েছে। নানা ফাঁক ফোকর সৃস্টি করে ভূমি মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এতে একদিকে প্রকৃত জমির মালিকরা নার্য্য মূল্যে থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি অনেক ক্রেতাও দালালদের মাধ্যমে জমি ক্রয় করতে গিয়ে বহুবিধ টাউট বাটপারদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এসব বিষয়ে কক্সবাজার উখিয়া উখিয়ার ইনানী, মনখালী, নিদানিয়া, রতœাপালং, জালিয়াপালং, টেকনাফ, বাহারছড়া, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন এলাকার নিরীহ লোকজনের ভাগ্য জুটে মিথ্যা মামলা। বর্তমান সময়ে অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একজনের জায়গা অন্য জনকে দখল করিয়ে দিতে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের দিয়ে গঠিত একাধিক সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটকে। পুলিশ এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবের কারনে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও হিমশিম খায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে এরকম কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর দৈনিক ইনানীকে বলেন, জায়গা-জমি দখল-বেদখলের ক্ষেত্রে পুলিশ কারো পক্ষ অবলম্বন করবেনা। তবে আদালতের নিদের্শ অনুযায়ী কাজ করবে শুধুমাত্র। পুলিশের পক্ষ অবলম্বনের বিষয়ে তিনি বলেন যদি এরকম কোন প্রমান থাকে তাহলে অভিযুক্ত সে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post