ভালোবাসার নাকি মৃত্যু নেই । সাহিত্যের সে সব বানী বাস্তবেও দেখা মেলে কখনো কখনো। সম্প্রতি তেমনই এক খবর পাওয়া গেলো। ৫শ বছর পরে কবর থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ভালোবাসার নির্দশন। দক্ষিণ কোরিয়ার আনডং শহরে একটি কবর থেকে উদ্ধার হয় প্রেমপত্র। সাথে ছিলো উপহারও। এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তার স্বামীকে লেখিছিলেন এই চিঠি। যত্ন করে বুনে ছিলেন সেন্ডেল। এ সবই রাখা ছিলো স্বামীর কবরে মমিকৃত শবের সাথে। ৫শ বছর ধরে মাটির নিচে থাকার পর এখন সামনে এসেছে। কবর খুঁড়তে গিয়ে বেড়িয়ে এসেছে এই প্রেমপত্র ও উপহার।ষোড়শ শতকে আনডং শহরে থাকতেন ইউং তাই লি। ১৫৮২ সালে ৩০ বছর বয়সে এই যুবক যখন মারা যান তখন তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। ওই অবস্থাতেই স্বামীর জন্য গাছের বাকল আর নিজের মাথার চুল দিয়ে বুনে দেন চটি। লেখেন মর্মস্পর্শী প্রেমপত্র।
ইউং তাই লি’র স্ত্রী ধরেই নিয়েছিলেন তাদের ছেলে হবে। অনাগত সেই পুত্রসন্তানের নাম রেখেছিলেন ‘ওন’। চিঠিতে স্বামীকে সম্বোধন করেছিলেন ‘ওনের বাবা’ বলে। এবং তারপর চিঠি জুড়ে লেখা ছিল বিলাপ। কীভাবে স্বামীকে ছেড়ে গোটা জীবন কাটাবেন, তাই নিয়েই ছিলো বেদনাগাঁথা কথামালা।
লি’র বুকের উপর রাখা ছিল প্রাচীন কোরিয়ান ভাষায় লেখা ওই চিঠি। লিপি বিশারদের সাহায্যে তার পাঠোদ্ধার করা হয়েছে। যুবকের দেহের পাশে পড়ে ছিলো স্ত্রীর হাতে বোনা চটি। এতদিন পরেও অবিকৃত ছিলো। কিন্তু কী হয়েছিল লিউ-এর স্ত্রীর? বা তার সন্তানের? সেই উত্তর এখন আর জানা যায়নি। সূত্র : ভাইরাল নোভা
Discussion about this post