কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥
সরকারী নিয়ম কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গত দ’ুসপ্তাহ যাবত অবাধে খাল ভরাট করছে ভূমি দস্যুরা। কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে ভুমি দস্যুরা ড্রেজারে মাটি তোলার নাম করে বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছে খাল ভরাটের কাজ। জানা গেছে বাদৈর ইউনিয়নে শিকারপুর গ্রামে মৃত ওমর খা’র ছেলে মো.শাহাব উদ্দিন ওরফে আইয়ুব খান, সোহেল ওরফে মানিক, মো.মালন মিয়ার ছেলে মাহবুব,আনোয়ার হোসেন,কাদির, আজু, জমসিদ খানের ছেলে আলম খা, ওবায়েদ খা’র ছেলে লিটন খা, সিরাজ খার ছেলে মোখলেছ খা, শাহজাহানের ছেলে আমজাদ খা, জামাল খানের ছেলে হুমায়ুন খা গংরা গত দু’সপ্তাহ যাবত তাদের বাড়ির দক্ষিন পার্শ্বে রাস্তা সংলগ্ন খালটি ড্রেজারের মাটি দিয়ে ভরাট করছে। এতে করে বর্ষার মৌসুমে কয়েক গ্রামের পানি এ খাল দিয়ে প্রবাহিত হতে না পারলে এলাকার কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে এবং স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এলাকার শত শত কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে বর্ষা মৌসুমে। শিকারপুর গ্রামের পূর্বপ্রান্ত অর্থাৎ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক থেকে খালটি ঐ গ্রামের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রবাহিত রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে এলাকার কৃষকরা তাদের ফসল নৌকা বা ভেলায় করে আনা নেয়া করত এবং রবি মৌসুমে খাল থেকে পানি নিয়ে বোরো ধান, আলু, মরিচ,পেয়াজ সহ বিভিন্ন শীতকালীন শাক সব্জি চাষাবাদ করতো। আইয়ুব খা, আমজাদ খা, এবং মাহবুব খা’র বাড়ির লোকজন একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের বাড়ি বরাবর মাটি দিয়ে ঐ খালটি ভরাট করায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলকার নীরিহ ও সাধারণ প্রান্তিক কৃষকেরা। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সারোয়ারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নতুন এসেছেন বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যান। তবে তিনি পুনরায় বলেন, লোক পাঠিয়ে নিশ্চিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে বাদৈর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নবী হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন; এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ ঘটনায় এলাকায় মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিরব রয়েছেন।
Discussion about this post