আব্দুল্লাহ্ আল মানসুর:- ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট-নোয়াখালী রেলপথে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলষ্টেশনে ট্রেন থামিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচার করার অভিযোগ উঠেছে।মাদক পাচার রোধে ও আন্ত:নগর ট্রেন থামানো বন্ধ করতে গত দুই বছর আগে শশীদল রেলষ্টেশনে একটি অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির স্থাপন করা হয়েছিল। কিš‘ এক অদৃশ্য কারণে সে পুলিশ ফাঁড়ি ২/৩ মাস পুর্বে তুলে নেয়া হয়েছে।প্রতিদিন অবৈধভাবে ট্রেন থামাচ্ছে চোরাকারকারীরা। প্রতিদিন রেল স্টেশনসহ এর আশে পাশেই টহল দিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। তারা দেখেও যেন কিছু দেখছেন না।ষ্টেশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট-নোয়াখালী রেলপথে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলষ্টেশনটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় চোরাকারবারীরা এ ষ্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদকসহ বিভিন্ন ভারতীয় পন্য পাচার করে থাকে। এজন্য চোরাকারবারীরা ঢাকা-চট্রগ্রাম-নোয়াখালী-সিলেট রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্ত:নগর ট্রেন থামিয়ে এসব পন্য পাচার করে থাকে।অভিযোগ রয়েছে ট্রেন থামানোতে ট্রেনের চালক ও ট্রেনে ভ্রাম্যমান পুলিশ সদস্যদের সাথে চোরাকারীদের যোগসাজশ থাকে। এর ফলে নিরাপদেই চোরাকারবারীরা মাদকসহ বিভিন্ন ভারতীয় পন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করে থাকে।এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের হওয়ায় গত দ্ইু বছর আগে আন্ত:নগর ট্রেন থামানো বন্ধ করতে শশীদল ষ্টেশনে একটি অস্থায়ি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তy পুলিশের ব্যার্থতার কারনে এ উদ্যোগ ফলপ্রসু হয়নি। কি এক অজ্ঞাত কারনে পুলিশ ফাড়ি আবার তুলে নেওয়া হয়। এতে করে আরও বেপোরোয়া হয়ে যায় চোরাকারবারীরা।আগের মতই অবৈধভাবে ট্রেন থামিয়ে চোরাকারবারীরা ট্রেনে করে অবৈধ পন্য পাচার করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। স্থানীয়রা রেলওয়ে পুলিশের দিকে অভিযোগের তীর ছোড়লেও তারা অবৈধ ট্রেন থামানো বন্ধ করতে পারছেননা।সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় মাদকের ব্যাপক প্রসার ঘটায় সম্প্রতি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের কার্যালয়ে এক মাসিক সভায় মাদক প্রতিরোধে টাস্কফোর্স গঠনের সীদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় মাদক পাচারের একটি স্থান হিসাবে শশীদল রেলষ্টেশনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়।শশীদল ষ্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী মহানগর গোধুলী, তুর্ণা নিশিথা, উপকুল এক্সপ্রেস, উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা মেইলসহ রাতের ট্রেনগুলো প্রায়ই প্লাটফরমের বাহিরে অবৈধভাবে থামানো হয়। ষ্টেশন থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া থাকলেও ষ্টেশনের বাহিরে কোন কোন সময় ষ্টেশনের প্লাটফরমে অবৈধভাবে ট্রেন থামানো হয়।সরেজমিন কসবা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত নোয়াখালীগামী উপকুল এক্সপ্রেস ট্রেন ভ্রমন করে দেখা যায়, রাত নয়টা ১৬ মিনিটে সবুজ সংকেত দেওয়া থাকলেও ট্রেনটি শশীদল ষ্টেশনের প্লাটফরমে থামে। এছাড়াও ট্রেনটি মন্দবাগ, সালদানদীতে ষ্টেশনের বাহিরে থামায় মাদক পাচারকারীরা। এ সময় কয়েকজন লোক ট্রেনে উঠে। ট্রেনটিতে ভৈরব ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে।রেলওয়ে আখাউড়া থানায় এ ঘটনায় মামলা করেছে Rvbv hvq। এ সময় ট্রেনে লাকসাম রেলওয়ে থানার পুলিশ ও আনসার সদস্য কর্তব্যরত ছিলেন। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের পোশাকে নেইম প্লেট না থাকায় জানতে চাইলে তিনি জসিম উদ্দিন পরিচয় দিয়ে বলেন, একজন পুলিশ সদস্য দিয়ে পুরো ট্রেনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা কষ্টকর।সীমান্তবর্তী শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মাদক পাচারকারীরা অবৈধভাবে আন্ত:নগর ট্রেন থামিয়ে মাদক পাচার করে থাকে। এতে শশীদল ষ্টেশনের ভাবমুর্তি সারাদেশের কাছে হেয় হচ্ছে।চোরাকারবারীদের সাথে ট্রেনের চালকের যোগাযোগ থাকায় পুলিশ উপস্থিতি জেনে, মোবাইলের মাধ্যমে পুলিশের উপস্থিতি থেকে এদিক-ওদিক ট্রেন থামায়। তখন কিছুই করা যায়না। বিজিবি সদস্যরা এব্যাপারে আরও তৎপর হলে চোরাচালান অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
Discussion about this post