মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ৩ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ ও চান্দিনায় গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত শনিবার গুলিবিদ্ধ যুবকের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলায়। কে বা কারা গুলি করে হত্যা করে তাকে চান্দিনায় ফেলে গেছে। গতকাল রোববার সকালে নুরজাহান নামক ৩ সন্তানের জননীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নুরজাহানের স্বামী আব্দুল কাদের পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জানা যায়- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জয়পুর গ্রাম থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নুরজাহান (২৮) নামের জয়পুর গ্রামের আব্দুল কাদেরর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তাদের কোলে ৩টি সন্তান আসে। আব্দুল কাদের বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন শনিবার তাকে নির্যাতন করে ঘরে তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসী জানায়। পরে এলাকার লোকজন গৃহবধূর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গতকাল রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবারের দাবী- আব্দুল কাদের প্রায়ই নুরজাহানকে নির্যাতন করতো। শনিবার রাতে তাকে পার্শ্ববিক নির্যাতন করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আব্দুল কাদের পলাতক রয়েছে। এদিকে গত শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া নামক এলাকায় মো. জসিম (৩০) নামের এক যুববকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেবিদ্বার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লায় পাঠিয়েছে। নিহত জসিম পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ভৌগলিক সীমারেখায় চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলার সীমান্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ছয়ঘড়িয়া এলাকার একটি জমির পাশে সকালে স্থানীয়রা অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই মৃত দেহ দেখে চান্দিনায় থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ সনাক্ত করেন। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় হত্যার পর তাকে মহাসড়কের পাশে ওই স্থানে ফেলে যায় দুষ্কৃতকারীরা। চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোর্সেদ জানান, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিহতের পেটে আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে দুস্কৃতিকারীরা তাকে গুলি করেছে। ময়না তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভৌগোলিক সীমা রেখায় ঘটনাস্থল দেবিদ্বার উপজেলাধীন হওয়ায় লাশ দেবিদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়।
Discussion about this post