মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধি- সারাদেশে এক যুগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের আলীম পরীক্ষা। সকাল ১০টায় কুমিল্লায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নকল মুক্ত সুষ্ঠ পরিবেশে পরীক্ষা শুরু হয়। সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল আহসান, শিক্ষাবোর্ড ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর অলিউর রহমান কুমিল্লার এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেছেন।
শিক্ষাবোবোর্ডের নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ জানান- কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৬টি জেলায় ২৯৫টি সরকারী বেসরকারী কলেজের ১৪৬টি কেন্দ্রে ৭৮ হাজার ৮’শ৯৩ জন পরীার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৭’শ ৬৪ জন নিয়মিত পরীার্থী। পরীার্থীদের মধ্যে ৩৯ হাজার ৪’১১ জন ছাত্র, ৩৯ হাজার ৪’৮২ জন ছাত্রী রয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগে ১১ হাজার ২’শ ৪ জন, মানবিক বিভাগে ২৭ হাজার ৯’শ ২২ জন এবং ব্যবসা শিা বিভাগে ৩৯ হাজার ৭’শ৬৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। কুমিল্লা ১৬টি উপজেলায় ৯৪টি কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৩১৪ জন এইচএসসি, আলী, ব্যবসা ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা নিয়ে এবার পরীার্থী অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ২৭ হাজার ৮’শ ৫৬ জন, নোয়াখালী জেলায় ১২ হাজার ৯’শ ১২ জন, চাঁদপুর জেলায় ১২ হাজার ৭৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১১ হাজার ১৩ জন, ফেনী জেলায় ৭ হাজার ৬’শ ৬ জন ও লক্ষ্মীপুরে ৭ হাজার ৪’শ ৩৩ জন। কুমিল্লা শিা বোর্ডের ৬টি জেলার মধ্যে কুমিল্লা জেলায় সবচেয়ে বেশি এবং লক্ষ্মীপুর জেলায় সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী পরিায় অংশগ্রহণ করছে। সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নকলমুক্ত সকল কেন্দ্রে পরক্ষা গ্রহণে সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ভিজেলেন্স টিম স্থাপন করা হয়েছে। কুমিল্লায় ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী সুষ্ঠুভাবে পরীা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানায় পুলিশ সুপার মো: মোখলেছুর রহমান।
দেবিদ্বারে সাঁতার না জানায় ২০ বছর বয়সী এক যুবতীর পানিতে ডুবে মৃত্যু
গতকাল রবিবার দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলার ৩নং রসুলপুর ইউনিয়নের ঝিনাইয়া গ্রামের মোঃ মালু মিয়ার মেয়ে মোসাঃ লিপি আক্তার (২০) সাতাঁর না জানায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যে বরণ করে। জানা যায়, ছোট বেলা থেকে লিপি আক্তার ঢাকা বাস করেন। গত শুক্রবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। গতকাল রবিবার দুপুরে বাড়ীর মেয়েদের সাথে পুকুরে গোসল করতে গেলে সাঁতার না জানায় পানিতে লিপি আক্তার ডুবে যাইতে দেখে তার সাথের মেয়েরা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। পানিতে ভাসা অবস্থায় লিপি আক্তারকে উদ্ধার করে, দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্মরত ডাক্তারগন তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
চান্দিনায় একাধিক মামলার আসামী মফিজ-মোক্তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে হুমকি
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় অম্ববপুর গ্রামের সন্ত্রাসীদের গডফাদার প্রতারক ও আন্ত-জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যদের অন্যতম সহযোগী মফিজ, মোক্তার ও লুতু বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের অম্বরপুর গ্রামের মৃত আঃ আজিজজের ছেলে ছেলে মফিজ এলাকার একদল বখাটে নিয়ে পেটুয়া বাহিনী গড়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তার ও তার পেটুয়া বাহিনীর ভয়ে স্থানীয় সাধারন মানুষ কোন প্রকার প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। এই বাহিনীর হাতে ইউপির পোনসাই, অস্বরপুর, মুরাদপুর, নাজিরপুর, বাতাঘাসী, হাসেমপুরসহ আশে পাশের ১০ গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক নিরিহ সহজ সরল সাধারন মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত জিম্মি রয়েছে। মফিজ ও তার বাহিনীর চিহ্নিত ৭ জনসহ অপরিচিত ৭/৮জনের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানা ও আদালতে প্রতারনা, ধষর্ণ, হত্যা, জমি দখল, হত্যার চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগসহ প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান। মফিজ, লুতু ও মোক্তারের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলা ও আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সাথে গভীর সুসর্ম্পক রয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী এ অভিযোগ করেন। ডাকাতের ডাকাতির ভয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সারা রাত জেগে পাহারায় থাকে এলাকাবাসী। এছাড়াও গত ২৩ জানুয়ারি ১২ইং একই এলাকার পোনসাই গ্রামের সহজ সরল সেকান্দর আলীর পরিবারের ২শতক জমি খরিদ সুত্রে দাবী করে মোক্তার হোসেন মফিজ লুতু বাহিনী দ্বারা জোর পুর্বক ১৩ শতক দখল করে ঘর বাড়ী নির্মানের চেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। এ সময় ভিটির ওয়ারিশ সেকান্দার আলীর পরিবারের লোকজন বাড়ীতে ছিলনা। খবর পেয়ে তড়ি গড়ি করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দিতে গেলে তাদেরকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করে মফিজ, মোক্তার ও লুতু বাহিনীরা। এব্যাপারেও থানায় মামলা হয়। এ মামলার সাক্ষী ও এলাকার নিরিহ লোকজনদেরকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মফিজজের পেটুয়া বাহিনী। এ ব্যাপারেও থানায় মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাস্থা ছাড়াও গ্রাম অঞ্চলের সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি ধর্ষণ জমি দখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গনমান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা মফিজ বাহিনী এসব কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দফা সালিসী বৈঠক বসে। বৈঠকে মফিজ গ্রুপ কোন প্রকার সিদ্ধান্তই মানছে না এমন অভিযোগও করে স্থানীয়ারা। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিটক মাফিজ মোক্তার ও লুতু বাহিনীদেরকে সহযোগীতা, সহযোগী ও মদদদাতাদের কঠোর শাস্তির দাবী করে স্থানীয় এলাকাবাসী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা নং- সি আর-১১৮/ ০৭ ধারা- ৪০৬/ ৪২০/ ১০৯। জি আর নং- ১০৯/ ০৮ ইং, জি আর নং- ১০৮/ ০৮ ইং, পিজি আর নং- ২৯৪/ ১২ ইং, পি আর নং- ২৪/ ১২ ইং। আসামীরা হল- মুকবুল হোসেন পিতা- রমিজ, মফিজ ওরফে রাডার মফিজ পিতা- মৃত আঃ আজিজ, রমিজ পিতা- মৃত আঃ আজিজ, আঃ আউয়াল পিতা- আঃ মান্নান, জামাল উদ্দিন পিতা-আঃ জলিল, মোমেন আলী পিতা- মৃত করামত আলী, আঃ মতিন পিতা-মৃত সুন্দর আলী সর্বসাং অম্বরপুর। বিল্লাল হোসেন পিতা- তালা মিয়া, বাচ্চু মিয়া পিতা- মোহর আলী, মোক্তার পিতা- কালা মিয়া, নুরু পিতা- মোহর আলী, রেনু মিয়া পিতা- কালা মিয়া,সরফ মিয়া পিতা- রেনু মিয়াসহ অপরিচিত অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন। উক্ত সস্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এলাকয় এ ধরনের বহু অপকর্মের অভিযোগও করন এলাকাবসী। তার ও তার বাহিনীর এ ভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিতি আবেদন করেন।
মাঝিগাছায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নেশাগ্রস্ত যুবকের কাছে হয়রানির শিকার!
কুমিল্লা সদরের মাঝিগাছায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মাদকাসক্ত সুমনের হয়রানির শিকার হয়েছে একাধিক পরিবার। জানা যায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৫নং পাচঁথুবী ইউপির পশ্চিম মাঝিগাছা গ্রামের ফখরুল আলমের ছেলে ইমরান মাহমুদ সুমন একই এলাকার ৪নং আমড়াতলী ইউপির উত্তর মাঝিগাছা গ্রামের তোতা মিয়া নিকট হতে সহজ শর্তে ৮ শতক জমি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুল্যে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে খরিদ করার প্রস্তাব করে বায়না পত্র দলিল করে। নেশাগ্রস্ত সুমন টাকা পরিশোধের সময় দিমু দিচ্চি করে তোতা মিয়াকে ঘুরাতে থাকে। এনিয়ে উভয়ের পরিবারের মাঝে কয়েক দফা সালিসি বৈঠক হয়। সর্ব শেষ বৈঠকের সময় অতিরিক্ত কয়েক দিন পার হয়ে যায়। এর মাঝে তোতা মিয়ার জরুরী টাকার প্রয়োজনে পাওনা টাকা সুমনের বাড়ীতে গিয়ে চায় তোতা মিয়া। এঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন টাকা না দেয়ার জন্য মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
Discussion about this post