প্রতি বছরের মতো এবারও কুয়েতের মোসরেফে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৩তম আন্তর্জাতিক হোরেকা মেলা ২০২৫। ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ১৩ তম আন্তর্জাতিক হোরেকা মেলার এই আয়োজন শেষ হবে ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার। হসপিটালিটি সার্ভিসেস এর বিজনেস টু বিজনেস B2B এর ক্ষেত্রে কুয়েতে সর্ব বৃহত্তম মেলা এটি। বিশেষ করে হোটেল, রেষ্টুরেন্ট, এবং ক্যাফে এই তিন সেক্টরের সকল প্রকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এই মেলায় মুখ্য ভুমিকা পালন করে। সেরাটন, মেরিডিয়ান, মিলেনিয়াম, ক্রাউন প্লাজা সহ কুয়েতের সকল পাঁচতারকা হোটেলগুলো অংশ নেয়। এই মেলায় হসপিটালিটি সার্ভিসেস এর পেশাদারীত্বের বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় দেশটিতে ফুড এবং হোটেল সেক্টরে কর্মরতরা। বিজয়ীদের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়। এছাড়াও ক্যাটারিং, লন্ড্রি সরঞ্জাম, পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহ খাদ্য-সম্পর্কিত সেক্টরের নেতৃস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি সহ পরিষেবা প্রদর্শন করাতে এই মেলায় অংশ নেয়। পর্যটন খাতের প্রচারণা ও প্রসার ঘটাতে কুয়েতে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক হোরেকা মেলার। হোটেলের এইচ.ও রেষ্টুরেন্টের আর.ই এবং ক্যাফের-সিএ এই তিন শব্দের সংমিশ্রণে নামকরণ করা হয় হোরেকা। মূলত ১৯৯৪ সালে প্রথম লেবাননে এই মেলার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে জর্ডান, সৌদি আরব ও কুয়েতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠে এ আয়োজন। মেলা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েত এর সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, ক্রিকেট এসোশিয়েশন এর সভাপতি জাহাঙ্গীর খান পলাশ, । মেলা পরিদর্শন করে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মঈন সুমন বলেন তিনি মেলায় অংশ নেওয়া অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানতে পারেন বাংলাদেশের কিছু ব্রান্ড যেমন প্রাণ, আরএফএল, অলিম্পিক বিস্কুট সহ বেশ কিছু পণ্য সম্পর্কে মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অবগত আছেন। তাদের পরামর্শ আন্তর্জাতিক বাজারে কোন পণ্য এবং প্রতিষ্ঠান প্রচারের এই মেলা অগ্রনী ভুমিকা পালন করে। মেলার ইভেন্ট ফটোগ্রাফার প্রবাসী বাংলাদেশী রুহুল আমিন বলেন তিনি কুয়েতে দীর্ঘ তেরো বছর ধরে চলা এই মেলায় ফটোগ্রাফের সম্পূর্ন দায়িত্বে আছেন। তিনি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশী কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহন করতে দেখেনি। সাংবাদিক মঈন সুমন কথা বলেন মেলার রিজিওনাল ইভেন্ট ম্যানেজার মিঃ রাবিহ নেহমে এর সাথে। মিঃ রাবিহ প্রশংসা করেন ইভেন্ট ফটোগ্রাফার প্রবাসী বাংলাদেশী রুহুল আমিনের কর্মদক্ষতার। তিনি আগামীতে বাংলাদেশকে এই মেলায় স্বাগত জানায় । মুলত পর্যটন খাতের প্রচারণা ও প্রসার ঘটাতে কুয়েতে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক হোরেকা মেলার। হোটেলের এইচ.ও রেষ্টুরেন্টের আর.ই এবং ক্যাফের-সিএ এই তিন শব্দের সংমিশ্রণে নামকরণ করা হয় হোরেকা। মূলত ১৯৯৪ সালে প্রথম লেবাননে এই মেলার আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে জর্ডান, সৌদি আরব ও কুয়েতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠে এ আয়োজন।
Discussion about this post