কুয়েতে স্থানীয় নাগরিকসহ বিদেশিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসীদের স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। কুয়েতে স্থানীয় নাগরিকসহ বিদেশিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুপার মার্কেট, পারফিউম, মুদি দোকান, বোরকার দোকান, গ্যারেজ, প্রিন্টিং প্রেস ও রেস্টুরেন্টসহ ছোট-বড় নানা রকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে কর্মদক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করছেন। কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ছোট ছোট অসংখ্য বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট থাকলেও ছিল না বড় বা অন্য দেশি খাবারের হোটেল। এবার সেই অপূর্ণতা পূরণ হয়েছে।
বাংলাদেশি খাবারের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান, চাইনিজ এবং আরবি খাবারের রেস্টুরেন্ট খুলে প্রমাণ করলেন বাংলাদেশিরা এখন পিছিয়ে নেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদেশিদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েতের অন্যতম অভিজাত অঞ্চল সালমিয়ায় বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ এবং আরবি খাবারের বাংলাদেশি মালিকানাধীন তিনটি হোটেল উদ্বোধন করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ব্যবসা অনেক প্রবাসীর জন্য একটি উদাহরণ। প্রবাসী ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশি পণ্য কুয়েতে আমদানি করার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক বাণিজ্যিক ও ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক জামিল আল আলী, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসানুজ্জামান, বিএমসি কমান্ডার, বাংলাদেশ কমিউনিটি র সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েত এর সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ সহ স্থানীয় নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন দেশের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। কুয়েতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোনো উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট না থাকায় প্রবাসীদের অন্য দেশের হোটেলে গিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পার্টি করতে হতো। অনেক স্থানীয় নাগরিক স্পাইসি খাবার পছন্দ করেন। আর এই স্পাইসি খাবারের রেস্টুরেন্ট বলতে তারা ভারতীয় রেস্টুরেন্টকেই চেনেন। এবার কুয়েতে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট একটি ব্র্যান্ড হিসেবে স্থানীয় নাগরিকসহ বিদেশিদের কাছে পরিচিতি লাভ করবে বলে আশা করেন রেস্টুরেন্টের কর্ণধার মোহাম্মদ এমাদুল ইসলাম।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় হোটেলের পরিবেশ এবং খাবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিদেশীরা।
কুয়েতে এই প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন এমন উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট পেয়ে আনন্দিত প্রবাসীরাও।
Discussion about this post