কুয়েতের শ্রম বাজারে নতুন জনশক্তির চাহিদা বেড়েই চলেছে। প্রবাসী ব্যবসায়ীরা নিজেদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন শ্রমবাজার খুজছেন। বিভিন্ন দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় কেউ টিকে আছেন কেউ বা ছিটকে পরছেন। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কুয়েতে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন, নতুন করে তৈরী করা হচ্ছে রাস্তা ঘাট, অফিস আদালত সহ অনেক ইমারত এসব কাজে অনেক জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। এর পাশাপাশি কুয়েতের রাস্তা ঘাট, অফিস আদালত পরিস্কার, বিভিন্ন অফিসে টি বয় সহ অসংখ্য কর্মসংস্থান বাড়ছে প্রতি বছর । এসব কাজের শ্রমিকদের সবই বিভিন্ন দেশের প্রবাসী। কুয়েতে বর্তমানে প্রায় দুই লাখ সত্তর হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন। এদের মধ্যে কেউ করেন চাকুরি, কেউ করেন ব্যবসা। আবার এদের মধ্যে কিছু প্রবাসী ব্যবসায়ী জনশক্তি সাপ্লাই করেন কুয়েতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিস্কার এবং মেরামতের জন্য নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন কোম্পানিকে। স্থানীয় নাগরিক সহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে এসব টেন্ডারে জয়ী হয়ে অনেক প্রবাসী কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক সাপ্লাই করে ভাল অবস্থানে আছেন , কেউ আবার সিটকে পরেছেন। এর পরেও অনেক প্রবাসী সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের ব্যবসার ধরন পাল্টে ঝুকছেন জনশক্তি সাপ্লাই ব্যবসায়। এক সময় কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে দাপটের সাথে কাজ করা এম এন এস ইন্টারনেশনাল কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আবদুর রশিদ এক প্রশ্নের জবাবে সময় সংবাদ কে জানান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে টিকে আছে এই বাজারে। কুয়েতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রজেক্টে সাধারণ শ্রমিকরে বড় বাজার। এই প্রজেক্টের জন্য স্থানীয়ভাবে এবং কুয়েতের বাহির থেকেও সহজে শ্রমিক পাওয়া যায়। এই ক্ষাতে নতুন কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি এম এন এস ইন্টারনেশাল কোম্পানি কুয়েতে আহমদি প্রদেশের স্বররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের চল্লিশটি স্থানের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব পায় যেখানে নতুন করে সহাস্রাধিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে ।
কুয়েতের বিভিন্ন রাস্তা ঘাট পরিস্কার, অফিস আদালতে টি বয়, বিভিন্ন দোকানপাট, রেস্তোরাঁ এমন কি বাসা বাড়িতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের মেধা, শ্রম আর সততা দিয়ে কাজ করে স্থানীয় নাগরিকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছেন। তাই কোন কর্মসংস্থান হলেই বাংলাদেশীদের চাহিদা থাকে বেশি। এম এন এস ইন্টারনেশাল কোম্পানির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার আহমেদ সাউদ মোঃ আল সিদ্দিকী তার কোম্পানিতে বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানান। এক প্রশ্নের জবাবে সময় সংবাদকে জানান আমরা বাংলাদেশ থেকে নতুন জনশক্তি আনতে চাই, কারণ কুয়েতের ভিতরে যারা আছে তারা পুরাতন, তাদের শ্রমিক নিয়োগ দিলে বেতন বেশি দিতে হয়। বাংলাদেশ থেকে নতুন শ্রমিক আনছে ওরাও উপকৃত হয় আমরাও উপকৃত হই। তাছাড়া বাংলাদেশীরা পরিক্ষিত তাদের দিয়ে কাজ করাতে কুয়েতিরা সাচ্ছন্দবোধ করেন। তাদের কাজ ভাল লাগে, তারা ভালভাবে কাজ করে, সঠিকভাবে কাজ করে। এবং তারা কুয়েত কে ভালবাসে।
প্রবাসী ব্যাবসায়ীরা স্থানীয় নাগরিক সহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে খাটাবেন নিজ মেধা। এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারলেই কুয়েতে বাংলাদেশীদের জন্য বাড়বে আরো নতুন কর্মসংস্থানের। এতে কুয়েতের শ্রমবাজারে আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি রেমিটেন্স ক্ষাতে রাখবে অসাধার ভুমিকা এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post