কুয়েত এর শহর কিংবা গ্রাম, এমনকি বাণিজ্যিক এলাকা থেকে শুরু করে মরুভুমির প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মোবাইল ব্যবসায় আধিপত্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের। ভারত, মিসরের নাগরিকদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন। এখন বাংলাদেশীদের অনুসরণ করছে অন্য দেশের প্রবাসী ব্যাসায়ীরা। কুয়েতে বিভিন্ন দেশের প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সহ ওয়াফরা থেকে আবদালীতে বিভিন্ন মার্কেটে রয়েছে অসংখ্য মোবাইলের দোকান। এসব দোকানের মালিক এক সময় বেশির ভাগ ছিল মিসর, ভারত, পাকিস্তানী প্রবাসীদের দখলে। দীর্ঘদিন থেকে এই সেক্টরে বাংলাদেশীরা কর্মরত ছিলেন। কম পুজিতে সহজেই ব্যবসা করা যায় বিদায় সেখান থেকে দক্ষতা অর্জন করে বেশ কয়েক বছর থেকে মোবাইল ব্যবসায়ী ঝুকছেন বাংলাদেশীরা। কুয়েত সিটি, ফরওয়ানিয়া, জিলিব, জাহরা, সালমিয়া, খাইতান সহ দেশটির বিভিন্ন শহরে মোবাইলের দোকানে নজর রাখলেই প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যা চোখে পড়ার মত। বর্তমানে এই ব্যবসায় তাদের প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং মিসরের নাগরিকরা। তাদের সাথে ব্যবসায় টিকে থাকতে বাংলাদেশীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন যা এখন অন্য দেশিরা অনুসরণ করছে বলে জানান দেশটিতে অবস্থানরত মোবাইল ব্যবসায় জড়িত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। সময় সংবাদকে এমনটাই জানালেন জিলিব মোজাম্মাহ মোবাইল মার্কেটের তরুন ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন কুয়েতে এসে তিনি প্রথমে অনেক কষ্ট করেছেন। বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছেন। একসময় একটি মোবাইলের দোকানে পার্টটাইম কাজের সুযোগ পান। সেই মোবাইল দোকানে তিনি তিন বছর কাজ করেন অভিজ্ঞতা অর্জন করে ২০১২ সাল থেকে নিজেই মোবাইলের দোকান দিয়েছেন, ভালই আছেন। তিনি বলেন ভারত, মিসরের নাগরিকদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন। এখন বাংলাদেশীদের অনুসরণ করছে অন্য দেশের প্রবাসী ব্যাসায়ীরা। একই মার্কেটে আরেক ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম তিনিও একটি মানি এক্সেঞ্জ কোম্পানিতে দীর্ঘদিন কাজ করেন। পরে নিজেই কুয়েতির সহযোগিতা নিয়ে মোবাইল ব্যবসায় প্রবেশ করেন। তিনি বলেন পুজি আল ভাল নাগরিকের সহযোগিতা পেলে কুয়েতে যে কোন ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব। মোবাইল ব্যবসায় কুয়েতে আধিপত্ব ধরে রাখতে টেকনিক্যাল কাজে আরো জনশক্তী প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও প্রচারণার মাধ্যমে নতুন বিদেশ যেতে আগ্রহীদের দক্ষতা অর্জন করতে বিভিন্ন ভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক (মৌলভীবাজার) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন ও সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন । তিনি প্রবাসীদের কল্যানে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় তুলে ধরেন। সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত ও বিটিভির মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি হাসানাত কামাল।
Discussion about this post