কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এর উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। ২৬ র্মাচ রবিবার সকালে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকল শহিদ ও মহান স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পরে দূতাবাসের হলরুমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩” উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র প্রেরিত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন। বাণী পাঠ শেষে দিবসের উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন। তারা তাদের বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব দানের কথা এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের উপর আলোকপাত করেন।
মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেন তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নৃশংশ হত্যাকান্ডে শাহাদাত বরণকারীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। আরো স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রম হারা দুই লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর-মুক্তিযোদ্ধাদের। চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তিতে জাতির পিতার জীবনভর সংগ্রাম এবং ত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এসময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদশেরে বিস্ময়কর উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন। মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশপ্রেম ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়তে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকলকে চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
Discussion about this post