মঈন উদ্দিন সরকার সুমন: কুয়েতে স্বদেশী দু’জনকে হত্যার দায়ে পাঁচ বাংলাদেশির প্রাণভিক্ষা দিয়েছেন দেশটির আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল জাবের আল-সাবাহ।
২০০৭ সালের জুলাইয়ে কুয়েতের ফান্তাসে ফজল নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। নিহত ফজল দোহার থানার শ্রীনগর গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে।
ফজল হত্যার দায়ে প্রাণভিক্ষা পাওয়া তিন বাংলাদেশি হলেন- জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার চরভাবাশুর গ্রামের ফিলু শেখের ছেলে আব্দুল আলিম (পাসপোর্ট নাম্বার আর- ০১৪৪৮৩৮), মাগুরা সদর থানার বাগবাড়ে গ্রামের লুৎফর রহমান বিশ্বাসের ছেলে তবিবুর বিশ্বাস (পাসপোর্ট নাম্বার আর-০৩১১৮৬৬) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ধারাব হ্যাংগা গ্রামের ফজু মিয়ার ছেলে মকবুল (পাসপোর্ট নাম্বার ও-০৯২২৮৩৭)।
অপরদিকে, কুয়েতের অফ্ফরায় আরেকটি হত্যাকাণ্ড মামলায় ক্ষমা পেয়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি। ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের চিলোকুট গ্রামের সাঈদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেনকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার অপরাধে তোজাম্মেল হোসেন ও মাশুককে মৃত্যুদণ্ড দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
তোজাম্মেল হোসেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার মাইজের মেলা গ্রামের নবীনাজ মিয়ার ছেলে। আর চুনারুঘাট থানার সনখলা গ্রামের মারফত উল্লাহর ছেলে মাশুক।
হত্যাকাণ্ডের শিকার দু’জনের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে ক্ষমা পত্র এবং কুয়েতের রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষার অনুরোধপত্র কুয়েতের আমিরের কাছে দাখিল করে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ শাহেদ রেজা জানান, সম্প্রতি কুয়েতের আমির এক আদেশের মাধ্যমে পাঁচজন বাংলাদেশি ফাঁসির আসামির প্রাণভিক্ষা দিয়েছেন।
কুয়েত আমিরের এই সহানুভূতির জন্য বাংলাদেশ ও দূতাবাসের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভিডিওঃ একুশে টিভিতে প্রচারিত সংবাদ রিপোর্ট মঈন উদ্দিন সরকার সুমন একুশে টিভি কুয়েত প্রতিনিধি
Discussion about this post