মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে বিভিন্ন এয়ার লাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকলেও নেই কুয়েত থেকে, এমন অভিযোগ কুয়েতে বসবাসরত চট্টগ্রামের প্রবাসী বাংলাদেশিদের। এবার কুয়েত থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে বিমানের ফ্লাইট না দিলে রেমিটেন্স বন্ধ করে দেবেন বলে ঘোষণা দেন তারা।
২২ নভেম্বর শুক্রবার রাতে কুয়েত সিটির রাজবাড়ী হোটেলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম রেমিট্যান্স যোদ্ধা ফোরাম এবং প্রবাসীদের কল্যাণে মানবিক ফাউন্ডেশন কুয়েতের নেতৃবৃন্দ এই ঘোষণা দেয়। তারা বলেন বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকলেও কুয়েতের ফ্লাইটটি কেন চালু করছেন না ক্ষোভ তাদের। সিরাজদৌল্লাহ এর সভাপতিত্বে এবং আবু হানিফ এরশাদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দাবীর প্রতি পুর্ণ সমর্থন জানান কুয়েত বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, হেফাজত ইসলাম কুয়েত শাখার আমীর শাঈখ মুহাম্মাদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি জাফর আহমদ চৌধুরী, মাওলানা কাজী ইকবাল, মোঃ আলী, মামুনুর রহমান, আবদুল কাদের, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোঃ সুমন, মোঃ পলাশ প্রমুখ।। কুয়েতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম রেমিট্যান্স যোদ্ধা ফোরাম গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক জনাব আবুল কাশেম। সমাবেশে বক্তারা কুয়েত থেকে চট্টগ্রাম বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালুসহ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে অবহেলিত চট্টগ্রামের নানা দুর্ভোগের বিষয়েও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কুয়েতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রায় সত্তর হাজারের উপরে প্রবাসী বাংলাদেশী আছেন। করোনার আগে কুয়েত থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাপ্তাহিক একটি ফ্ল্যাট ছিল। ২০১৯ সালে করোনার সময় বিভিন্ন দেশের সাথে অনেক ফ্লাইট বন্ধ করার পর চালু হলেও কুয়েত থেকে চট্টগ্রামের সেই ফ্লাইটটি আর চালু হয়নি। বন্ধ হওয়ার পর থেকে কুয়েতে নোয়াখালী ফেনী সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম প্রবাসীরা ফ্লাইটটি চালু করার দাবি করে আসছিল । কিন্তু বৃহত্তর চট্টগ্রাম প্রবাসীদের কোন দাবিই আমলে নেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ কিংবা বাংলাদেশ সরকার। তাছাড়া আল জাজিরা, এয়ার আরাবিয়া, ফ্লাই দুবাইয়ের কয়েকটি এয়ার লাইন্স কুয়েত থেকে দীর্ঘ যাত্রা বিরতি দিয়ে চট্টগ্রামের ফ্লাইট থাকলেও এখন বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের রেমিটেন্স খাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা অসংখ্য চট্টগ্রামের কুয়েত প্রবাসীদের ভোগান্তির চরমে। কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ের ধরনা দিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে কুয়েত থেকে সরাসরি বিমানের চট্টগ্রাম ফ্লাইট না দিলে রেমিটেন্স বন্ধের ঘোষণা দেন তারা। কুয়েত থেকে সরাসরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সরাসরি ফ্লাইটটি আবার চালু হলে যেমন আর্থিক ক্ষতি ও সময় বাঁচবে, তেমনি ভোগান্তি কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post