বণাঢ্য আয়োজনে বিশাল পরিসরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধা’র আয়োজন করে সিলেট বিভাগীয় সাংস্কৃতিক গোষ্টি,কুয়েত\ এই প্রথম কুয়েতে কোনো আঞ্চলিক সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশাল পরিসরে সাংস্কৃতিক সন্ধা’র আয়োজন করা হয়,গত ১৮ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার আব্বাসিয়া মিলনায়তনে সন্ধা ৬ টায় দর্শকদের মুহুর মুহুর করতালিমুখর পরিবেশে দুই দেশের জাতীয় সংঙ্গীত দিয়ে অনুষ্টানের আনুষ্টানিক শুরু হয়।
সাংগঠনিক চিরাচরিতভাবে নিয়মানুযায়ী পরিচিতি পর্ব শুরু হয়।
সংগটনের সভাপতি ইজাজুর রহমান জুনেল এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথির আসনে অলংকৃত হন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্টদূত.সিলেটের কৃতিসন্তান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদদীন, এনডিসি,পিএসসি
(অব:)
সংগটনের যুগ্মসম্পাদক শেখ নিজামুর রহমান টিপু’র প্রানবন্ত সরস উপস্হাপনায়,
স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন সংগটনের সাধারণ সম্পাদক বাবু মিহির কান্তি পাল,শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগটনের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হাসেম এনাম।
সেখানে সিলেটিদের মিলণ মেলায় পরিনত হয় ছোট এক খন্ড সিলেট।
উপচেপড়া দর্শক-শ্রোতাদের উপস্হিতিতে উত্তপ্ত মঞ্চে শিল্পীদের মন মাতানো পরিবেশনের মাঝে মাঝে দর্শকরাও নেচে নেচে উঠেছিলেন তাদের উত্তাল হৃদয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে।
গান পরিবেশন করেন শুভ্রা পাল,ওমর ফারুখ,সেনু,সুমন,সায়ফুল, খছরু,মো: আক্তার,ও আক্তার হোসেন,সন্তুষ ।
নাটক: আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু’র রচনা ও নির্দেশনায় ” ডিজিটাল ঘটক”
ঘটক: মিন্টু, চেয়ারম্যান: আবুল হাসেম এনাম, সাংবাদিক : টিপু, শফিক : রাহাদ আসাদ, ক্যামেরাম্যান :সায়ফুল।
নৃত্য পরিবেশন করে, ওয়ার্দী পাল,গায়ত্রী পাল নিঝুম দাস,
শিশু শিল্পী নৃত্য স্মীথ পাল,সচিব,রিয়া,রক্তিম,রেহাম,সানি।
অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দায়ীত্ব নিয়ে শুভ্রা পাল গান ও নাচের পরিচালনা করেন, সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন আবুল হাসেম এনাম ও মিহির কান্তি পাল। মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন শেখ নিজামুর রহমান টিপু। ডিজাইনার মাহিন রহমান।
হলে অভ্যর্থনায় ছিলেন নজরুল ইসলাম,নুরুল আমিন জয়নাল, ইউনুছ মতিন,মোরাদ চৌধুরী,আবুল কালাম আজাদ, রাহাদ আসাদ,সহ সাংগঠনিক আখলাকুজ্জামান মুন্না,হেলাল আহমেদ,সোলায়মান,
নাটকের রিয়ার্সেল এ সহযোগিতা করেন ফয়সল আহমেদ(কিং ফয়সল) ও এস আই ফয়সল প্রমুখ।
দেশের সংস্কৃতি ,কৃষ্টি, কালচার ও ঐতিহ্য বুকে লালন করে আগলে ধরে রাখতে, প্রবাসে বেড়ে
উঠা নতুন প্রজন্মের শিশু,কিশোরদের দেশের সংস্কৃতির প্রতি বেশি আগ্রহ করার লক্ষ্য এই ধরনের আয়োজন অত্যান্ত প্রয়োজন।
সিলেট’র আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় দেশের সংস্কৃতি ,কৃষ্টি ও ঐতিহ্য কে অনেকটা সিলেটের আঞ্চলিক ভঙ্গিমায় ও শুদ্ধ মিশ্রণ ভাবে উপস্থাপন করা হয়।
কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংবাদিক , সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও প্রায় কুয়েতের সকল শ্রেণী- পেশার বিপুল সংখ্যক উপস্থিত দর্শকরা খুব মনযোগ দিয়ে মন মুগ্ধকর অনুষ্টানটি শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত উপভোগ করেছেন।
Discussion about this post