বাংলার বার্তাঃ কুয়েত আওয়ামী লীগ’র উদ্যোগে আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম। রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম কুয়েতে আসার পর থেকে কুয়েত আওয়ামীলীগ এর তিন গ্রুপের (১-সভাপতি মোঃ সাদেক হোসেন, ২- ফয়েজ কামাল, ৩-রউফ মাওলা) সহ সম্পাদকবৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দাবি করে আসছেন ঐক্য গঠনের। সকল গ্রুপ রাষ্ট্রদূতের কাছে লিখিত ভাবে ঐক্যের সমঝোতা করেন। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকল কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনার দাবিও জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ আগষ্ট বৃহঃস্পতিবার রাতে জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রদূত সবার সম্মতিক্রমে এই বিলুপ্তের ঘোষণাদেন। সে সময় কুয়েতে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের প্রায় দুইশতাধিক নেতৃবৃন্দ ও সুধিজন উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় তিনি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিটিরও ঘোষনা দেন, তারা হলেন নির্বাচন কমিটির প্রধান রবিউল আলম রবি, মনি হোসেন মন্টু, আজাদুর রহমান, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও সদস্য সচিব মঈন উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন এখানে রাজনীতি করে দেশে একজন মেম্বার চেয়ারম্যান এর নমিনেশন পাওয়া যাবে না। আপনারা বঙ্গবন্ধুরি আদর্শকে লালিত করে থাকলে সবাই এক হন দেশের কল্যাণে কাজ করেন, বিদেশে এমন কোন কাজ করবেন না যা দেশের মান ক্ষুন্ন করে। তিঁনি দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি লক্ষ করে বলেন আমাকে বেশি ব্যবহার করবেন না। ঐক্যের কথা বলতে গিয়ে তিঁনি বলেন ১০০ জনের মধ্যে যদি ৯০ জন এক থাকে তাহলে সবাই আছে বলা যায়। তাছাড়া আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ দল এখানে কিছু বাহিবের থাকবে এটাই সাভাবিক। তিঁনি সবার প্রতি আহবান করেন পদের চিন্তা না করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশনকে বাস্তবায়নে দেশের স্বার্থে সবাই ঐক্য হওয়ার প্রয়োজন। কুয়েত আওয়ামীলীগ এর নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ ২৫ বছরে ঐক্য হতে পারেনি, সবার অনুরুধে তিঁনি সুধিজনদের নিয়ে এই প্রক্রিয়ায় হাত দিয়েছেন । তিঁনি কঠোর ভাবে বলেন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার অন্যায় বা অবৈধ কাজে লিপ্ত এমন কাউকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
আতাউল গনি মামুন এর সঞ্চালনায় জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য ও দলের ঐক্য গঠনের বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন জানে আলম, সামুল আলম, মোহঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোরশেদ আলম বাদল, শাহ নেওয়াজ নজরুল, মাহমুদুর রহমান মাসুম, নজরুল ইসলাম, সেকান্দর আলী, বাহার উদ্দিন বাহার, নাফিস জাহান জোয়ারদার, রবিউল আলম রবি, আকবর হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শেখ আকরামুজ্জামান, কবিতা আবৃতি করেন রফিকুল ইসলাম ভুলু। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর শ্রম আবদুল লতিফ খান, প্রথম সচিব আনিসুজ্জামান, ড. শাজাহান, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হান্নান, ফয়েজ কামাল ও আবদুর রব মাওলা।
চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বর্তমান কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম গত ৯ আগস্ট মঙ্গলবার আনুষ্ঠিানিক ভাবে কুয়েত এর মহামহিম আমির এর কাছে পরিচয় পত্র প্রদান করেন। দূতাবাসের বাহিরে প্রবাসীদের সাথে এই প্রথম জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে যোগদেন। এর পূর্বে তিঁনি দূতাবাসে কুয়েতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সহ সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে দ্বিধা বিভক্তের মাধ্যমে প্রবাসে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করা এমন কাজ থেকে বিরত থেকে দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্য হওয়ার আহবান করেন। ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। তিঁনি যে ঐক্যের চেষ্টা করছেন তা সফল হলে কুয়েতে ঐক্যের দূত হিসেবে কুয়েতে ইতিহাসের পাতায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূত্রপাত ঘটবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা।
অনুষ্ঠানের মধ্যে পবিএ ক্বোরআন থেকে তেলোয়াত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীর জনক ও শহীদদের সম্মানে দাড়িঁয়ে একমিনিট নিরবতা পালন আলোচনা সভা, শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
Discussion about this post