যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দিনের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম সহ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অস্থায়ী শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ভাষা দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে অন্যান্য কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কর্মসূচির মধ্যে কোরআন তিলাওয়াত, মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী সমূহ পাঠ করে শোনানো হয়।
বাণী সমূহ পাঠ করেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ সগিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খান, কুয়েতে সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কাউসিন্সলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
অন্যদিকে বাংলাদেশ মিলিটারী কমান্ড (বিএমসি) কর্তৃক কুয়েতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বিএমসি সদর সোবহান দপ্তর প্রাঙ্গণে যথাযথ মর্যাদায় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরির মাধ্যমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় বিএমসির কমান্ডার সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সৈনিকবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনীতিক সংগঠন গুলো। অনুষ্ঠানে ভাষা দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
Discussion about this post