আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা মুসলিম বিশ্বের বড় ও মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিযোগিতা। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত কুয়েতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য কোরআনের হাফেজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কুয়েতে এসেছে। কোরআন শিক্ষিায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। বিশ্বের অসংখ্য দেশে সেরা পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের কোরআনের হাফেজগন। ২০১৮ সালে কুয়েতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ। এবার প্রথম স্থান জয়ী হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন দুই প্রতিযোগি হাফেজ আবু রাহাত ও তাওহিদুল ইসলাম। হাফেজ আবু রাহাত পিএইচপি কুরআনের আলোর প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন এবং তাওহিদুল ইসলাম ওবাইদুল্লাহ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ডে নিজের সেরাটা দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তারা কুয়েতেও দেশের সুনাম বয়ে আনতে দোয়া চান সবার কাছে। কুয়েতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মঙ্গলবার কুয়েতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের দুই প্রতিযোগি। মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ ক্বারী শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী তাঁর দুই শিক্ষার্থী নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কুয়েত আসেন। তিনি বলেন বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম কর্তৃক আয়োজিত কুয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের অসংখ্য প্রতিযোগির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। তিনি আশা করেন এবার প্রথম স্থান অর্জন করবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন বাংলাদেশের কুরআন শিক্ষা অনেক দেশের জন্য এখন মডেল হয়ে দাড়িঁয়েছে। অনেক দেশ কুরআন শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্মরণ করে।
বিশ্ব পরিমণ্ডলে মুসলিম দেশ হিসেবে লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশের নামটি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে কোরআনের হাফেজদের কারণে। কুয়েতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে আবারও বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নামটি উজ্জ্বল করবে এমনটাই আশা সকলের।
Discussion about this post