সাদেক রিপন,নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রিকেট প্রেমী, ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশে দলের উত্তেজনাকর মুহুর্তে টিভির পর্দায় দেখা যেত বাঘ সেজে ছুটে যেত ঢাকা, চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামের গ্যালারী হতে বাংলার টাইগার উৎসাহ দিতে ও হাজারো সমর্থকের সাথে টাইগার মারুফ। মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের হাজী তাহের আহম্মেদ ভূঁইয়ার পুত্র খায়রুল ইসলাম মারুফ। পরিবারের দুই বোন ও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউট অব টেকনোলজি (NIT) ছাত্র ছিলেন। পড়াশুনায় মনোযোগী মারুফ ক্রিকেট প্রেমটা জায়গা করে নিয়েছে মনের মধ্যে। ফ্যামিলি পড়াশুনার খরচ দিতেন সেখান থেকে টাকা বাচিয়ে ছুটে যেতেন স্টেডিয়ামের মাঠের টাইগারদের গ্যালারী থেকে বাঘের হুংকার তুলে অনুপ্রাণিত করে বিপক্ষ দল থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে কোটি বাঙালীর মুখে হাসি ফুটিয়ে দিত।
বাংলার বার্তা সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে টাইগার মারুফ বলেন, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সহ সব কয়টি আর্ন্তজাতিক ম্যাচ দেখতে মাঠে যেতাম। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত টি টোয়ান্টি বিশ্বকাপের সময় ফ্যামিলির দেয়া পরীক্ষার টাকা দিয়েই ছুটে যায় ভারতে টাইগারদের অনুপ্রাণিত করতে। শেষ পর্যন্ত কোন স্পন্সর না পাওয়ায় ফ্যামিলির কথায় বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে কুয়েতে পাড়ি জমান ২০১৬ আগস্ট মাসে। মারুফ টাইগার নামে তার একটি ফেসবুক পেইজ রয়েছে সেই পেইজে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সর্ম্পকে সব ধরনের তথ্য আপডেট দিয়ে থাকেন নিয়মিত। বর্তমানে তার পেইজে ২৮ হাজার ২শ দুই জন লাইকার রয়েছে। স্পন্সর বা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেলে বাঘ বেশে গ্যালারীতে দেখা যাবে মারুফ টাইগার কে এবং আসছে বিপিএল এ দেশে গিয়ে মাঠে বাঘ সেজে আবার টাইগারদের অনুপ্রাণিত করা প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসে যেকোন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশে থাকব। বাংলার ঐতিহ্য কে কুয়েতে প্রবাসে তুলে ধরব। যে কোন সময় মাঠে টাইগার হযে সাপোর্ট দিবো। দূর প্রবাসে থেকে মনে হয় আরো বেশি দেয়া হয়। প্রবাসীরা কি পরিমাণ দেশ ও দেশের ক্রিকেটকে ভালবাসে তা এখানে এসে বুঝতে পেরেছি। বর্তমানে টাইগার মারুফ মিরসরাই সমিতি কুয়েতের সহ ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
Discussion about this post