মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাবউদ্দীন, এনডিসি, পিএসসি বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসাবে যোগদান করেছেন। জেনারেল আসহাব ১০ জানুয়ারী ১৯৫৯ ইংরেজী সিলেটে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হন। তিনি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অন ডিফেন্স স্টাডি এবং মাস্টার্স অন সোসাল সায়েন্স সম্পন্ন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রাজ, ইন্ডিয়া থেকে এমফিল (M Phil) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সামরিক জীবনে জেনারেল আসহাব দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে ষ্টাফ কোর্স, ভারত থেকে ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রেটেজিক কোর্স (এনডিসি) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিজার্ভ কম্পোনেন্ট, স্পেশাল ওয়ারফেয়ার এবং সিনিয়ার এক্সিকিউটিভ এর উপর প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
জেনারেল আসহাব দীর্ঘ ৩৪ বৎসর অত্যন্ত মর্যাদা ও সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি দুইটা পদাতিক ব্যাটালিয়ন, দুইটা পদাতিক ব্রিগেডসহ সাভার এবং চট্টগ্রাম ডিভিশন/সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পদবীতে অফিসার প্রশিক্ষক ও ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট এর দায়িত্ব পালন করেন।
জেনারেল আসহাব ১৯৯৩ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত মোজাম্বিকে শান্তিরক্ষী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং অসামান্য অবদানের জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক লাভ করেন। জেনারেল আসহাব বাংলাদেশের ক্রীড়া অঙ্গনের সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি জাতীয় স্পোর্টস কাউন্সিল এর নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশনের সভাপতি হিসাবে দীর্ঘ ৬ বৎসর দায়িত্ব পালন করেন।
জেনারেল আসহাব প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ডেলিগেশন ও জাতিসংঘের পীসকীপার হিসেবে বিভিন্ন সময়ে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকা মহাদেশের অনেক দেশ ভ্রমন করেছেন। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। অবসর সময়ে বই পড়া ও গল্ফখেলায় তার আগ্রহ রয়েছে।
Discussion about this post